সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে কলকাতায় শুরু হল বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। মধ্য কলকাতার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল বের হয়। গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ হয়ে ওই মিছিল শ্যামবাজার চার মাথার মোড়ে যাবে। মিছিলের নেতৃত্বে দলের কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সোচ্চার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ধর্মের ভিত্তিতে নয়া আইন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরের । ইতিমধ্যেই পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সাত দিনে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বেশ কয়েকটি নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী মিছিলে হেঁটেছেন তিনি। জনসভাও করেছেন । বিজেপির অভিযোগ, লাগাতার মিথ্যা প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল । গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন। তাই একদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কী ? তা বোঝাতে, এবং বিরোধীদের মিথ্যা প্রচার খণ্ডন করতে এদিনের মহা মিছিলেন আয়োজন ।
এ দিনের মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অভিনন্দন যাত্রা’। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিন্হা, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির অন্য নেতা-নেত্রীরা তাতে অংশ নিয়েছেন । তাদের দাবি, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধীদের ‘বিভ্রান্তিমূলক’ প্রচারে মানুষ ভয় পাচ্ছেন। তাই ‘প্রকৃত সত্য’ তুলে ধরে তা মানুষের ভুল ভাঙাতে হবে । সেই সঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্নে তৃণমূলের ‘দ্বিচারিতা’ তুলে ধরাও তাদের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে। মিছিলে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত এবং সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ারা । আছেন বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি দেবজিৎ সরকার, বিষ্ণুপুরের সংসদে সৌমিত্র খান, রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত।
কলকাতা পুলিশ বিজেপির এই মিছিলের অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে প্রথমে সংশয় ছিল মুরলীধর সেন লেনের নেতাদের মনে । বিজেপি নেতারা তাই আগেভাগেই হুঙ্কার রেখেছিলেন, অনুমতি না মিললেও মিছিল হবে নির্দিষ্ট পথেই। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। তবে বাইক মিছিল করা যাবে না। শ্যামবাজারে পৌঁছে জনসভায় ভাষণ দেবেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা।
2019-12-24