ভেকুটিয়ায় রহস্যজনক মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। বৃহস্পতিবার ভোররাতে উদয়শংকর দুবে নামক মধ্যবয়স্ক এই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত ভাবে খুন করে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল৷ তাদের বক্তব্য, পারিবারিক অশান্তিতেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, ভেকুটিয়া পূর্বের ২৮ নম্বর বুথের বাসিন্দা উদয়শংকর দুবে। অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা তাঁকে বিজেপির হয়ে প্রচার না করার হুমকি দেয়। সম্প্রতি কয়েকদিনের জন্য বাড়িও ছা়ড়তে হয় তাঁকে। এ দিন ভোররাতে উদয় দুবে শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য নিজের ঘর থেকে বেরোন। ঘণ্টাখানেক হওয়ার পরেও না ফেরায় তাঁকে খুঁজতে ঘর থেকে বেরোয় পরিবারের লোক। সেই সময়ে ওই শৌচালয়েই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনার পরেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয়েছে তদন্ত। দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনাস্থলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে শুভেন্দু অধিকারী যাচ্ছেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে, পুলিশ আসার পরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে চার ঘণ্টার বেশি সময় নিয়েছে।
নন্দীগ্রামে ভোটের আগে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু তার মধ্যেও বেশ কিছু জায়গায় গন্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নন্দীগ্রামের একাধিক বুথে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। সকালে ৬, ৭, ১৪, ৭৪, ৭৫, ৫২, ৫৩, ১০৫, ২৪৮, এই বুথগুলিতে বিজেপি কর্মীরা ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে বলে তৃণমূল অভিযোগ৷ সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে তারা।
অন্যদিকে, ভোটের আগেই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। দাদপুর গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির-র বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। বুধবার রাতে উত্তম দোলই নামে তৃণমূল কর্মীর পেটে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কেশপুর হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।