দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নে অংশগ্রহণ করার ’অপরাধে’ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত খমির খান ১৫ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে মহম্মদ বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূলও।
জানা গিয়েছে, সোমবার ছিল বিজেপির দুই প্রার্থীর মনোনয়নের দিন। সেই উপলক্ষে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার বেহিড়া ভেজনা গ্রাম থেকে বেশ কিছু মানুষ বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়নে অংশগ্রহণ করতে সিউড়ি গিয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। সন্ধ্যার দিকে গ্রামের একটি জায়গায় বসে তারা গল্প করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র, ধারাল অস্ত্র, বাঁশ, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে অতর্কিতে তাদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দা মাজু খানের পেটে ধারাল অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সানি খানের মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। ইদমহম্মদ খানের হাত লাঠি মেরে ভেঙে দেওয়া হয়। আমদাত খানের মাথায় লাঠির আঘাত করে। তারা সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খমির খানের অভিযোগ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় তাদের মারধর করা হল। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে আর মানুষ নেই। তাই তারা সমাজবিরোধীদের দিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানালাম। তাতেও কাজ না হলে কমিশনে জানাব”। তৃণমূলের মহম্মদ বাজার ব্লক সভাপতি তাপস সিংহ বলেন, “বিজেপিই প্রথম আমাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করে পরে আমাদের কর্মী সমর্থকরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।”
আজ সকালে সিউড়ি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান বিজেপির বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। তিনি আহতদের পরিবারের পাশ থাকার আশ্বাস দেন।
এই ঘটনায় সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের সকলেই তৃণমূল সমর্থক বলে জানা গেছে।