লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার ’অপরাধে’ রাতে বাড়িতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটল নদীয়ার হাঁসখালি থানার দুর্গাপুরে। অভিযোগ, পঞ্চাশোর্ধ সুকুমার বিশ্বাস হাঁসখালি দুর্গাপুরের বাসিন্দা তিনি এবং তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে যখন বাড়িতে ছিলেন তখন তৃণমূলের১০ থেকে ১২ জনের সশস্ত্র সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। দুষ্কৃতিরা বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাদের মারধর করে। বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বিজেপি কর্মী সুকুমার বিশ্বাস।
সুকুমার বিশ্বাসের অভিযোগ, ’গত ২৯ তারিখ ভোট দিতে গেলে তৃণমূলের লোকজন আমাকে ভোটের কেন্দ্র থেকে ভোট না দিয়ে বের করে দেয়। পরে আমি ভোট দিয়ে ফেরার সময় তৃণমূল দুষ্কৃতিরা আমাকে দেখে নেবার হুমকি দেয়। বৃহঃস্পতিবার রাতে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। অভিযোগ সেইসময় এলাকার ১০ -১২ জন তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী হাতে হেঁসো, পিস্তল নিয়ে আমার বাড়ির ওপর চড়াও হয়, ভাঙ্গচুর করে। সুকুমার বাবু জানান, “আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে এবং নিষেধ করা সত্ত্বেও ভোট দিতে কেন গেছিস বলে আমাদের অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং মারধর করতে থাকে। ব্যাপক মারধরের পর যখন আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় পরেছিলাম সেই সময় পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে বগুলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
তাঁর অভিযোগ, ’বিজেপি করি বলেই শাসকদল আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমি আমার জেলার নেতাদের জানিয়েছি। তাঁরা আমার কাছে এসেছিল।আমার স্ত্রী লীলা বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শাসকদলের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আর গ্রেপ্তারের পরেই শাসকদল আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে অভিযোগ তুলে নেবার জন্য।’ শাসকদলের বিরুদ্ধে ঐ বিজেপি কর্মীর আরও অভিযোগ, ’তারা আমাদের আত্মীয়দের হুমকিও দেয়, যদি ঐ তৃণমূল দুষ্কৃতিরা ছাড়া না পায় তাহলে আমাদের প্রাণে শেষ করে দেবে। দুষ্কৃতিরা আমাদের টাকাপয়সাও নিয়ে গেছে।”
এই ঘটনায় হাঁসখালী থানায় ১৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী লীলা বিশ্বাস। পুলিশ সূত্রের খবর এখনো পর্যন্ত দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।