একুশের ভোটের ইস্তাহার আগামী ২১ তারিখেই প্রকাশ করতে পারে বিজেপি।
কী থাকবে সেই ইস্তাহারে?
বিজেপির ভোট প্রতিশ্রুতির বহর কী হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দিয়েছেন। ইস্তেহারেও সেই বিষয়ের সমাহার থাকবে বলেই বিজেপির শীর্ষ সূত্রে খবর। সম্ভাব্য অন্যতম বিষয়গুলি হল—
সরকারি চাকরি
- মেয়েদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ।
- সরকারি কর্মচারিদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন গঠন।
- আরও অনগ্রসর হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ওবিসি সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া। মণ্ডল কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ণ। তিলি, মাহিষ্য ইত্যাদি অনগ্রসর জাতিকে সংরক্ষণের প্রস্তাব।
কৃষক ও মৎস্যজীবী
- প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান যোজনার আওতায় বকেয়া ১২ হাজার টাকা সহ মোট ১৮ হাজার টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে।
- ৪ লক্ষ মৎস্যজীবীকে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান প্রকল্পের অনুরূপ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার।
- মৎস্যজীবীদের জন্য পৃথক দফতর।
- মৎস্যজাত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য উৎসাহ।
পরিকাঠামো উন্নয়ন
- প্রতিটি বাড়িতে পাইপলাইনে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ।
- দ্বারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বর সেচ প্রকল্পের জন্য ৩০০০ কোটি টাকা।
- জেলা শহরগুলিতে আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ।
- দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিপর্যয় মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন। যাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কোনও প্রানহাণি না হয়।
স্বাস্থ্য
- ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাস্তবায়ণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা।
পশ্চিমাঞ্চল ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ
- অরণ্যের অধিকার আইনের বাস্তবায়ন।
- বনজ উৎপাদনের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য।
- উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিটি ব্লকে একটি করে একলব্য আদিবাসী স্কুল স্থাপন
- পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদিবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন।
এ ছাড়াও আরও কিছু বড় ঘোষণা থাকতে পারে
- উচ্চ মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পেলে তফসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষায় ৫০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা।
- তফসিলি উপজাতির ছাত্রদের জন্য হস্টেল নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
- সাঁওতাল, ওরাঁও, মুণ্ডা, কোরা, লোধা, মাহিলি, শবর, বেদিয়া, ভূমিজ সহ প্রতিটি উপজাতি কল্যাণে ১০০ কোটি টাকা করে তহবিল গঠন।
- সামাজিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সাহায্য।
- বিরসা মুণ্ডের স্মরণে ঝাড়গ্রামে আদিবাসী শ্রুতি সংগ্রহালয় নির্মাণ।
- ধর্মীয় স্থান ও আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে ভ্রমণের জন্য আদিবাসীদের জন্য ২৫০ কোটি টাকার তহবিল গঠন।
- বনধন প্রশিক্ষণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন।
- তফসিলি উপজাতি কল্যাণ
- নারায়ণী সেনা নামে নতুন আধা সামরিক বাহিনী গঠন।
- কোচ সমাজের বীর পুত্র বীর চিল্লা রায়ের নামে আধা সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গঠন।
- ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তি গঠনে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
- রাজবংশী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গঠনের জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিলের প্রস্তাব।
- মতুয়া সম্প্রদায়ের ছাত্রদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পঠনপাঠনের জন্য সরকারি বৃত্তি।
- মতুয়া দলপতিদের জন্য পেনশন।
- গুরুচাঁদ মন্দিরকে পর্যটন সার্কিটে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব।
- ঠাকুরনগর ধর্মস্থানের সংস্কার।
- ঠাকুরনগর রেল স্টেশনের নতুন নামকরণ করা হবে—শ্রীধাম ঠাকুরনগর।
- মদনমোহন মন্দির, কামেশ্বরী মন্দির এবং পঞ্চানন বর্মার জন্মস্থানকে কেন্দ্র করে পর্যটন সার্কিট।