নতুন সরকারের কাছে তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবি জানাবে বঙ্গ বিজেপি

কেন্দ্রে নতুন সরকারের কাছে তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবি জানাবে রাজ্য বিজেপি। শেষ দফা ভোটের পর এই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ রবিবার তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করে মুকুল বলেন, “নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে আমরা তাদের কাছে দাবি জানাব যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এমন রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে।”

প্রাক্তন তৃণমূলের চাণক্য বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েও যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকা উচিত নয়।” এদিনই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির আরেক এক নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার৷ তিনিও কমিশনের কাছে তৃণমূলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন৷

রাজ্য ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করেন এদিন মুকুল রায় বলেন, “আমরা ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি করেছি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে ভোটের পরেও মডেল কোড অফ কনডাক্ট চালু থাকা অব্দি রাজ্যে রেখে দেওয়া হয়।” বাংলার শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি কর্মীদের ওপর ভোট পরবর্তী পর্যায়ে সন্ত্রাস হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রবিবার, শেষ দফার ভোটের দিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে প্রতি দফাতেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রচুর বিজেপি কর্মী-সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু মার খেয়েও তাঁরা জমি ছাড়েননি। তৃণমূলের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করেছেন। কিন্তু ভোট মিটে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে ফের বিজেপি সমর্থকরা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আমাদের ধারণা। রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করেও বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হতে পারে। আর তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন করছি, যাতে ভোট মিটে গেলেও ২৩ মে ফল ঘোষণা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে।”

এদিকে, এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাই জানাচ্ছে ইউপিএ জোটের তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে এনডিএ জোট। এমনকি বাংলাতেও শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে বিজেপির।টাইমস নাও-ভিএমআর-এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এ রাজ্যে তৃণমূল পেতে পারে ২৮টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ১১টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ২টি আসন ও অন্যান্যরা পেতে পারে ১টি আসন। রিপাবলিক টিভির সমীক্ষাতে এই রাজ্যে তৃণমূল পেতে পারে ২৯টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ১১টি আসন ও কংগ্রেস পেতে পারে ২টি আসন।

এবিপি-এসি নিয়েলসেনের বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এ রাজ্যে তৃণমূল পেতে পারে ২৪টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ১৬টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ২টি আসন। বামেদের ভাঁড়ার শূন্য।

জন-কী-বাত ও ইন্ডিয়া টুডে’র সমীক্ষায় তৃণমূলের আরও আসন কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ জন-কী-বাত জানাচ্ছে তৃণমূল পেতে পারে ১৭টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ২২টি আসন। অর্থাৎ রাজ্যে বিজেপি টপকে যেতে পারে তৃণমূলকে। অন্যদিকে কংগ্রেস পেতে পারে ৩টি আসন। অনেকটা একই ছবি দেখা গিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে’র সমীক্ষাতে। এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল পেতে পারে ১৯-২২টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১৯-২৩টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১টি আসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.