সন্দেশখালি ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চান বঙ্গ বিজেপির নেতারা৷ গোটা ঘটনাটি তাঁকে জানাতে দলের নেতারা তৎপর হয়ে উঠেছে৷ বিজেপির পক্ষ থেকে মুকুল রায় এদিন বলেন, সন্দেশখালিতে আমাদের তিন কর্মী মারা গেল৷ আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট দেব৷ তাঁকে গোটা ঘটনাটি জানাব৷ দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় সরাসরি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন মুকুল রায়৷ তোপ দেগে জানান, বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে৷
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ ট্যুইটে আসানসোলের সাংসদ জানান, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ খবরটি শুনে মর্মাহত হয়ে পড়েছি৷ বাংলার মানুষ খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলের গুণ্ডারাজের অবসান করবে৷
ভোট পরবর্তী রাজ্যের সবথেকে বড় রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটল বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালিতে৷ তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এদের মধ্যে চারজনই বিজেপি কর্মী৷ মৃতরা হলেন সুকান্ত মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং দেবদাস মণ্ডল৷ এদের মধ্যে সুকান্ত ও প্রদীপের চোখে গুলি করা হয়েছে৷ তপনের মাথায় গুলি লাগে৷ এখনও ১৮ জন বিজেপি কর্মী নিখোঁজ৷
এদিকে চার বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসছেন বিজেপি কর্মীরা৷ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সকলে৷ বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের খুন করেছে৷
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের দলীয় কর্মীকে খুন করার অভিযোগ এনেছেন উত্তর ২৪ পরগণার তৃণমূলে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ জানান, বিজেপির হার্মাদ বাহিনী তাদের দলের কর্মী কায়ুন মোল্লাকে গুলি করে খুন করেছে৷ রাজনৈতিক কর্মী খুন নিয়ে দুই দলের রাজনৈতিক তরজা এখন চরমে৷