বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের সঙ্গে এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এ রাজ্যে কোনও ভাল আইএএস আসতে চান না। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ডব্লুবিসিএসদের প্রমোশন দিয়ে সরকার চালাতে হয়।
শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে অবস্থান নিয়েছেন ভারতবর্ষের ফেডারেল স্ট্রাকচার ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আগামিদিনের জন্য তা খুব চিন্তার কারণ। বিএসএফ আমাদের দেশের সীমানা সুরক্ষার কাজে থাকে। তার সঙ্গে ইচ্ছা করে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে লড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে বাধ্য। যেহেতু তিনি ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারা না করতে পারছেন না। কিন্তু দেশের যে আইন, যে সংবিধান সেটা মানতেও তাঁরা বাধ্য। ফলে আগামিদিনে এই দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে। আমার মনে হয় এখন যে পরিস্থিতি হয়েছে কোনও ভাল র্যাঙ্ক করা আইএএস তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসতে চান না। পছন্দ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলেন না তিনি। এটা তো লজ্জার। কেন আসতে চাইছেন না আইএএসরা। ডব্লুবিসিএসদের প্রমোশন দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সরকার চালাতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলছেন এখানে ভাল অফিসার নেই। কোনও আইএস আসতে চান না। যাঁরা পিছনের দিকে র্যাঙ্ক করেন তাঁরা আসেন। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের।”
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের সঙ্গে এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এ রাজ্যে কোনও ভাল আইএএস আসতে চান না। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ডব্লুবিসিএসদের প্রমোশন দিয়ে সরকার চালাতে হয়।
শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে অবস্থান নিয়েছেন ভারতবর্ষের ফেডারেল স্ট্রাকচার ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আগামিদিনের জন্য তা খুব চিন্তার কারণ। বিএসএফ আমাদের দেশের সীমানা সুরক্ষার কাজে থাকে। তার সঙ্গে ইচ্ছা করে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে লড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে বাধ্য। যেহেতু তিনি ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারা না করতে পারছেন না। কিন্তু দেশের যে আইন, যে সংবিধান সেটা মানতেও তাঁরা বাধ্য। ফলে আগামিদিনে এই দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে। আমার মনে হয় এখন যে পরিস্থিতি হয়েছে কোনও ভাল র্যাঙ্ক করা আইএএস তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসতে চান না। পছন্দ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলেন না তিনি। এটা তো লজ্জার। কেন আসতে চাইছেন না আইএএসরা। ডব্লুবিসিএসদের প্রমোশন দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সরকার চালাতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলছেন এখানে ভাল অফিসার নেই। কোনও আইএস আসতে চান না। যাঁরা পিছনের দিকে র্যাঙ্ক করেন তাঁরা আসেন। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের।”
বৃহস্পতিবারই নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সীমান্ত ঘেঁষা জেলা নদিয়ায় বৈঠক করতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ছিল, “আইসিদের বলব একটু বেশি করে ঘোরাঘুরি বাড়ান। নাকাচেকিং বাড়ান। আপনাদের বাংলাদেশ বর্ডার রয়েছে। করিমপুর থেকে শুরু করে। আপনাদের সেদিকে নজর রাখতে হবে। বিএসএফ যাতে এলাকায় গিয়ে কোনও রকম আপনার অনুমতি ছাড়া কোনও কিছুতে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেটাও দেখতে হবে। বিএসএফ বিএসএফের কাজ করবে। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা পুলিশের বিষয়। মানুষের উপর কোনও অত্যাচার হোক এটা আমি কখনওই সহ্য করব না।”
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিএসএফের এক্তিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। সেখানেও বিএসএফ যাতে স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কোনও কাজ করে সেটা বিডিয়ো ও আইসিকে দেখতে হবে। যার তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমালোচনায় মুখর হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠান এ বিষয়ে।
রাজ্যপালের চিঠির মূল বক্তব্য ছিল, বিএসএফ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে উদ্বিগ্ন তিনি। পুলিশ-বিএসএফের মধ্যে সংঘাত কাম্য নয়। দুই বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। কেন্দ্র বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই ৫০ কিলোমিটার করেছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে।
এদিন একই কথা শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখেও। একই সঙ্গে এ রাজ্যের মানবাধিকার নিয়েও সমালোচনা করেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য, বাংলায় মানবাধিকারের যা অবস্থা তার সঙ্গে একমাত্র তুলনা চলে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়ার। সুকান্তের সংযোজন, “আমরা বলব না উত্তর কোরিয়া হয়ে গিয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অনেক মিল পাওয়া গিয়েছে। ভিন্ন মত পোষণ করলে যে ধরনের আক্রমণ এখানে নেমে আসে, শুধু শারীরিক আক্রমণ না। যাকে বলে ভাতে মারা। মানুষের রেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, প্রথমদিকে ভ্যাকসিন নিতেও দেওয়া হয়নি। এখন কিছু পরিস্থিতি বদলেছে। তবে প্রথমদিকে বিজেপি কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল না।”