পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব গোর্খাল্যান্ডের উপর খুব সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যদিও এই সংবেদনশীল ইস্যুতে দলের মধ্যে একটু ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

রাজ্য বিজেপি নেতৃবৃন্দ যেমন এমপি লকেট চ্যাটার্জি, যিনি সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন, পৃথক রাজ্য ‘গোর্খাল্যান্ড’ গঠনের কথা প্রকাশ্যে অস্বীকার করেছিলেন। অন্যদিকে, বিজেপির দার্জিলিং এর সাংসদ রাজু বিস্ত সম্প্রতি সংসদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে বলেছিলেন যে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী।

সোমবার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও লকেট চ্যাটার্জি শিলিগুড়িতে ছিলেন। সেখানে লকেট চ্যাটার্জি বলেছিলেন যে বাংলাকে ভাগ করা যায় না এবং গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের মানে কখনোই পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নয়।

“দার্জিলিং বাংলার মুকুট ছিল, আছে এবং থাকবে। পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানের অর্থ পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নয়। বাংলার মানুষ বছরের পর বছর ধরে একসাথে বসবাস করেছে এবং আগামী দিনেও তারা একসাথে থাকবে, ”সোমবার শিলিগুড়িতে একথা বলেছেন লকেট চ্যাটার্জি। এখানে সায়ন্তন বসু কৃষি বিলের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছিলেন।

কিছুদিন আগে সায়ন্তন বসুও একই রকম মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “গোর্খাল্যান্ড একটা ইস্যু। তবে বিজেপি কখনও রাজ্য ভাগ করার পক্ষে নয়। বাংলা বিভাজন বাদে সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায় কিনা তা দেখা হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার গোর্খাদের উপর অত্যাচার করেছে। এটি সংশোধন করতে হবে। রাজ্যের কিছু মন্ত্রীকেও শাস্তি দেওয়া উচিত।”।

এই দুই রাজ্য বিজেপি নেতার বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে এমন সময়ে যখন বিজেপি-শাসিত কেন্দ্র ৭ই অক্টোবরের ত্রিপক্ষীয

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.