“চা চক্রে দিলীপ দা”। ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে নয়া কর্মসূচি চালু করতে চলেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে এই কর্মসূচি নিচ্ছে পদ্মশিবির। মূলত, সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সরাসরি মেদিনীপুরের সাংসদকে জানানোর কৌশল হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই কর্মসূচিকে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা সবখানে পৌঁছচ্ছে কিনা সে বিষয় খোঁজখবর নেওয়াই নতুন জনসংযোগ উদ্দেশ্য হতে চলেছে।
“চা চক্রে” সাধারণ মানুষের সমস্যার কথাও লিপিবদ্ধ করা হবে বিজেপির তরফে। সঙ্গে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা হবে। তবে বাংলার রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “দিদিকে বলো”র পাল্টা “দাদাকে বলো” কর্মসূচি নিল বিজেপি। যেখানে চায়ের আড্ডায় আম জনতার মনের কথা জানতে চাইবেন দিলীপ। দলীয় সূত্রে খবর, গেরুয়া শিবিরের এই নয়া কর্মসূচি অনেকটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “চায়ে পে চর্চা”র মতো।
এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই ধরনের কর্মসূচি কোনওদিনই তৃণমূল পার্টির পরম্পরায় ছিল না। তারা এখন গায়ের জোরে এসব করছে। চা বিক্রি করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চা খাওয়া, জনসংযোগ করাটা আমি নিজে গত ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে করে আসছি। পুরুলিয়া থেকে কাকদ্বীপ অবধি করেছি। ৩৬৫ দিন এ’কাজ করে থাকি। দিল্লিতে থাকাকালীনও করেছিলাম। তাই এটা আমাদের অভ্যাসের মধ্যে পড়ে।”
তিনি আরও বলেন, “সাংগঠনিক ভাবে এভাবে চলা আমাদের নীতি। আমি চাই, আমার সঙ্গে দলের সবাই এই জনসংযোগে সামিল হোন। সেজেগুজে নেতা হওয়ার জন্য নয়। শুধু ছবি তোলার জন্য এই কর্মসূচি নয়।”
কিন্তু ঠিক কেমন হতে চলেছে বিজেপির এই “চা চক্র”?
বিজেপি শিবির থেকে বলা হচ্ছে, কোনও লোক দেখানো ফোনকল নয়। কোনও ছেলে ভোলানো চিঠিচাপাটি নয়। সরাসরি, সামনা-সামনি, সোজাসাপ্টা। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না সহ যাবতীয় দৈনন্দিন সমস্যা-যন্ত্রণা ভাগ করে নিতে আপনার এলাকায় যাবেন দিলীপ ঘোষ। আড্ডার মেজাজে আপনার এলাকা ঘুরে দেখে আপনাদের সমস্যার কথা শুনবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অতএব, আপনার এলাকার সমস্যার সমাধানে সরাসরি কথা বলুন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে।
গেরুয়া শিবিরের নীচুতলার কর্মীরা এবার এমন প্রচারই চালাবেন রাজ্য জুড়ে।