দেবাঞ্জন দেব আর জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে বিজেপি যেমন তৃণমূলের সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের যোগসাজেশের অভিযোগ করছে, তখন আরেকদিকে তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দেবাঞ্জনের ড্রাইভার/বডিগার্ডের সঙ্গে রাজ্যপালের একটি ছবি দেখিয়ে সরাসরি জগদীপ ধনখড়ের দিকে আঙুল তুলছেন। যদিও, দেবাঞ্জনের ওই ড্রাইভারের সঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ নুসরত জাহান আর শান্তনু সেনেরও ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
আরেদকিকে, বিজেপি তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদেরও এই ইস্যুতে আক্রমণ করছে। তাঁদের মতে বাংলায় এতবড় একটা কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরেও বুদ্ধিজীবীরা চুপ থাকেন কী করে? আর সেই অভিযোগ বিজেপির কিছু নেতা আজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়।
ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, কালীঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় আজ বিজেপির নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাঁরা জাল ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে একটি প্ল্যাকার্ড ছাপিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ দেখায়। তাঁদের সেই প্ল্যাকার্ড বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি তিনি ভাষাতেই লেখা ছিল। কোথাও লেখা ছিল ‘ভ্যাকসিন জিহাদ”, আবার কোথাও লেখা রয়েছে, ‘ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে প্রতিবাদ জানানোর জন্য ন্যায্য মূল্যে বুদ্ধিজীবী চাই।”
উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে যে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো না, সেটা সবার জানা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বারবার বাংলার বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। শুধু দিলীপ ঘোষই না, বিজেপির অনেক শীর্ষ নেতৃত্বকেই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে বেফাঁস বয়ান দিতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির অনেক নেতার মতেই, বাংলার বুদ্ধিজীবীরা টাকা নিয়ে এবং নিজের কাজ ও সম্মান বাঁচাতে সরকারের হয়ে প্রতিবাদ করে শুধু। কিন্তু, সরকার দুর্নীতি, অত্যাচার করলে তাঁদের দূরবীন দিয়েও দেখা যায়না।
আজকের এই প্রতিবাদ প্রসঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি মুকুন্দ ঝাঁ বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচি পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হয়েছে। কারণ পুলিশ আমাদের কোনও মতেই এই কর্মসূচি পালন করার অনুমতি দিত না। আমরা সংখ্যায় কম থাকলেও পুলিশ আমাদের অনুমতি দিত না। তবে কোভিড আইন মেনেই আমরা এই কর্মসূচি পালন করেছি।”