রাজনৈতিক মহলের অনুমান ছিল এবার চমক দেবে বাংলা। হচ্ছেও তাই। বেলা বাড়তেই বিজেপির যে ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, তা সত্যিই চমকপ্রদ। তৃণমুলের ৪২-এ ৪২-এর আশায় জল ঢেলে একের পর এক আসনে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।
সকাল ১১টা পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে ১৭টি আসনে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আর ২২টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। একাধিক এক্সিট পোলেই বোঝা গিয়েছিল ১০-এর বেশি আসন পেতে পারে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন ২৩টি আসন পাবেন তাঁরা। দিলীও ঘোষের কথা মিলে যাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূলের সবকটি আসন জয়ের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে গেরুয়া শিবির।
সকাল থেকেই একের পর এক কেন্দ্রে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপি। গত বার লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সাংসদ হয়েছিলেন এসএস আলুওয়ালিয়া ও বাবুল সুপ্রিয়। এবার এখনও ওর্যন্ত ৪৮০০০ এর বেশি ভোটে এগিয়ে বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন তৃণমুলের মুনমুন সেন।
অন্যদিকে, বর্ষীয়ান তৃণমুল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় পিছিয়ে পড়ছেন বাঁকুড়ায়। ১১০০০-এর বেশি ভোটে এগিয়ে বিজেপ প্রার্থী সুভাষ নস্কর। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বারাকপুরে দীনেশ ত্রিবেদীকে পিছিনে ফেলে দিচ্ছেন বিজেপির অর্জুন সিং। ঘাটাল কেন্দ্রেও চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সকালে কিছুক্ষণের জন্য এগিয়ে যান ভারতী ঘোষ। যদিও পরে এগিয়ে গিয়েছেন দেব।
এছাড়াও পুরুলিয়ায় জ্যোতির্ময় মাহাতো, মেদিনীপুর থেকে এগিয়ে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ, শ্রীরামপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার৷ প্রথম দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়৷ পরে অবশ্য অভিষেক ১৭,০০০০-এর বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন। কোচবিহার কেন্দ্রে এগিয়ে বিজপি প্রার্থী নিশিথ প্রামাণিক৷
প্রথম থেকেই বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন মোদী- অমিত শাহরা। দুই নেতাই একগুচ্ছ সভা করেছেন পশ্চিমবঙ্গে। একের পর এক কেন্দ্রে গিয়ে বক্তব্য রেখেছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে কী সেই সভার প্রভাবই পড়েছে বাংলায়? নাকি তৃণমূল-বিরোধিতার ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে? সেই উত্তর জানা যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।