আজ ভাটপাড়া যায় বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধিদল। শনিবার বেলা বারোটার পর ভাটপাড়ায় যান এস এস আলুওয়ালিয়া, সত্যপাল সিং এবং বিষ্ণুদয়াল রাম। এই তিন সাংসদ নিহতদের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া বলেন, পুলিশের গুলিতেই মারা গেছে রামবাবু সাউ ও ধরমবীর সাউ। এসএলআর ইনসাসের গুলির খোল দেখিয়ে তিনি বলেন পুলিশ যদি শূন্যে গুলি করে থাকে,তবে তা কিভাবে কোন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। ঘটনায় ৭ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, দোকানদারদের মত আম জনতা রয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আলুওয়ালিয়া আরো বলেন, “পুলিশের আশকারাতেই কিছু হুলিগান ও ক্রিমিনাল নিরীহ মানুষদের ওপরগুলি ছুড়ছে, বোমাবাজি করছে। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করা হবে”।
অন্যদিকে সকালে ভাটপাড়া পৌঁছাতেই প্রতিরোধের মুখে পড়েন সুজন চক্রবর্তী এবং আব্দুল মান্নান। সন্ত্রাস কবলিত ভাটপাড়া কাকিনাড়া পরিদর্শন করতে আসে বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় প্রতিনিধি দল। তবে এলাকায় এসে পৌঁছাতেই তাদের উদ্দেশ্যে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। অর্জুন অনুগামীরা এই স্লোগান দিয়েছে বলে অভিযোগ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুজন চক্রবর্তী বলেন “আমরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম। বিধানসভায় গিয়ে যা বলা উচিত তা বলব। নিহতদের পরিবারের পাশে আছি । রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করে লাভ নেই। এক্ষেত্রে চাই সিবিআই তদন্ত। এত বড় ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী এলাকা শান্ত না করে চুপ করে আছেন। কাশ্মীরে যেখানে গুলি চালানোর অর্ডার নেই সেখানে এখানে কার কথায় গুলি চালানো হয়েছে? কে এর ব্যবস্থা করবে? নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
আব্দুল মান্নান বলেন, ” অপরাধীদের শাস্তি এবং নিহতদের পরিবার যাতে সব রকমের সাহায্য পায় তার ব্যবস্থা আমরা করব। বিধানসভায় এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলবো।