এখনও চূড়ান্ত হয়নি দিনক্ষণ। কলকাতায় পুরভোটের দামামা বেজে গেলেও রাজ্যর বাকি পুরসভাগুলিতে কবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছেই। তবে শোনা যাচ্ছে, নতুন বছরেই ভোটপর্ব মিটিয়ে ফেলার কথা। কলকাতার পর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুরভোটস্থল হতে পারে শিলিগুড়ি পৌরনিগম। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের আগেই তাই পুরভোট পরিচালনের বিশেষ কমিটির ঘোষণা করল বিজেপি। প্রাধান্য দেওয়া হল বিধায়কদের।
বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে এই পরিচালন কমিটির চূড়ান্ত তালিকা পেশ করা হয়। শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৪৭ টি ওয়ার্ডকে মোট ৫ টি বরোতে ভাগ করে প্রত্যেক বরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক একজন বিধায়ককে। প্রত্যেক বরোর জন্য তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি পৃথক কমিটিও। সবকটির দায়িত্বে থাকছেন বিধায়কেরাই।
কোন বরোর দায়িত্বে কোন বিধায়ক?
১ নম্বর বরোর পর্যবেক্ষক- দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজ জ়িম্বা
২ নম্বর বরোর পর্যবেক্ষক- ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মূর্মূ
৩ নম্বর বরোর পর্যবেক্ষক- শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ
৪ নম্বর বরোর পর্যবেক্ষক- কার্শিয়াঙের বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা
৫ নম্বর বরোর পর্যবেক্ষক- ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়
এছাড়াও, পরিচালন কমিটির প্রধান পর্যবেক্ষক হচ্ছেন সাংসদ রাজু বিস্তা ও সাংসদ জয়ন্ত রায়। ইলেকশন ক্যাম্পেন কমিটির দায়িত্বে থাকছেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কো-ইনচার্জের পদে থাকছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়, দুর্গা মূর্মু এবং বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা। অন্যদিকে, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির ইনচার্জ নিযুক্ত হয়েছেন বিধায়ক সুশীল বর্মণ। কো-ইনচার্জের পদে থাকছেন রাজ ভট্টাচার্য , সুপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজু সাহা। এছাড়াও থাকছেন ২২ জন সাধারণ সদস্য।