সরকারি কর্মীচারীদের দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি শুনে অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ সিনেমার কথা মনে পড়েছে দিলীপ ঘোষের।
শনিবার সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপি মহিলা মোর্চা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় একতা অভিযান কর্মশালায় বক্তব্য রাখার পর ফিরে যাওয়ার সময় দিলীপ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে ভানুর যমালয়ে জীবন্ত মানুষ-এর গল্প মনে পড়ে। যমদূত রা যখন ধরে নিয়ে যাচ্ছে তখন কেউ বলছেন, স্কুল করে দেব, হাসপাতাল করে দেব। এটা না সেরকম হয়। আশা করবো, সরকারি কর্মচারীদের যে ন্যায্য অধিকার আছে তা পাওয়া দরকার। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়।”
দিলীপ আরো বলেছেন, বার বার ধোকা দেওয়া ঠিক নয়। আদালত বলেছে, আগে ডি এ দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তো বেতনের কথা বলছেন। ডি এ-এর কথা বলছেন না। সরকারি কর্মীদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা উচিত। অক্ষমতা ছিল তা স্বীকার করা উচিত।”
দিলীপ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তায় মানুষ বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। মানুষ যদি মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস করবেন তবে বিজেপি দু কোটি ৩০ লক্ষ ভোট পেত না। উনি মাত্র ১৭ লক্ষতে এগিয়ে আছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, মূল বেতন অর্থাৎ বেসিক + গ্রেড পে এর সর্বমোট কে ২.৫৭ দিয়ে গুণ করার কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যা হিসাব দিয়েছেন, তাতে কারো মূল বেতন ৭ হাজার টাকা হলে নিতুন কাঠামোয় তা এখন হবে ১৭৯৯০ টাকা। গ্রাচুইটি ৬ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর আগেই সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে খুশির হওয়া।