আমাদের ভারত, কোচবিহার, ২৯ জুলাই : কোচবিহারে রাজনৈতিক হানাহানি অব্যাহত। রবিবার কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারি এলাকায় বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর ও বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এলাকায় বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। এরপর ওই এলাকারই একটি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টির অফিস ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই পার্টি অফিস ভাঙ্গচুরের ঘটনায় দুইজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। দুই বিজেপি কর্মীকে মুক্তির দাবিতে এবং এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সাত মাইল এলাকায় ১৬ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। পরে কোতোয়ালী থানার আইসি সৌমজিৎ রায় বিজেপি কর্মীদের সাথে কথা বললে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি কর্মীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধে কোচবিহার মাথাভাঙ্গা সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
বিজেপির জেলা সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, “নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করছে তৃণমূল। রবিবার মোয়ামারি এলাকায় সশস্ত্র মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস সেই মিছিল থেকেই বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর করা হয় এবং তাদের দুই কর্মীকে মারধর করা হয়”। তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙ্গচুর প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, তৃণমূলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ কার্যালয়টি ভাঙ্গতে পারেন। এর সঙ্গে বিজেপি কোনোভাবেই জড়িত হয়।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ অভিযোগ করেছেন, এলাকায় অশান্তি তৈরীর জন্য বিজেপি দুষ্কৃতীরা ঝামেলা পাকাচ্ছে।