ভাটপাড়ার উত্তপ্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দল ঘটনাস্থলে যাবে ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা মুকুল রায় বৃহস্পতিবার বলেন, ভাটপাড়ার ঘটনা ভয়াবহ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা মানতে পারছেন না , তৃণমূল কংগ্রেস ভাটপাড়ায় হেরেছে৷ বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছে অর্জুন সিং, ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছে পবন সিং৷ মমতা কিছুতেই মানুষের রায় মেনে নিতে পারছেন না৷
মুকুলের দাবি, ‘‘মমতা বারবার পুলিশকে ব্যবহার করে ভাটপাড়ার উপর নিজের দখলকে রেখে দিতে চাইছেন৷ পুলিশ ‘ট্রিগার হ্যাপি ৷’ নিরীহ খেটেখাওয়া দুইজন মানুষকে হত্যা করেছে পুলিশ৷ একজন হলেন রামবাবু সাউ এবং অন্যজন ধরমবীর সাউ৷ একজন ফুচকাওয়ালা এবং অন্যজন নিরীহ খেটেখাওয়া মানুষ৷’’
ভাটপাড়ায় লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল না৷ লোকসভা নির্বাচনের দিন ভাটপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে রাস্তায় রীতিমতো দৌড়তে দেখা যায়৷ অর্জুন দাবি করেছিলেন, নির্বাচন পণ্ড করতে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী কাজ করেছে৷ ভাটপাড়ায় বিধানসবা উপনির্বাচনও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়৷ তবে ওই নির্বাচনে জয়ী হয় অর্জুন-পুত্র পবণ সিং৷ এরপর কিছুদিন ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার সকালে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷
ভাটপাড়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসে বক্তব্য, বিজেপি তাড়াহুড়ো করছে৷ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘বিজেপি বুঝতে পারছে না এক বছর ১১ মাস রাজ্য সরকারের মেয়াদ রয়েছে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্নভাবে রাজ্য সরকারকে অসুবিধা করার চেষ্টা করছে৷’’
তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কেন্দ্রীয় দলে কারা থাকবেন তা পরিষ্কার করেনি বিজেপি৷ বিজেপির একটি সূত্রে খবর, ভাটপাড়ার পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনাটি জানানো হয়েছে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে৷ ঘটনার প্রথমিক রিপোর্ট রাজ্য সভাপতি এবং মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে৷