টার্গেট বাংলা দখল: জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ‘গোপন’ বৈঠক বিজেপির

‘রাজ্য সরকারের পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সিকে সাহায্য করছে না। তাই দুই কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। পিসির মন্দির কালীঘাটে সিআরপিএফ নিয়ে যাবেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি।’মালদহের কলেজ অডিটোরিয়ামে পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি সন্মেলনে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ।

এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল সহ জেলার বিজেপির পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা।

জানা গিয়েছে, ২০২১সালের বিধানসভা ভোট। তারই প্রস্তুতি হিসাবে পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জোর কদমে ঝাঁপিয়ে পড়তেই এই সন্মেলন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। অত্যান্ত গোপনে এই বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্ত বসু। যেখানে প্রতিটি জন প্রতিনিধিদের নিয়ে বুথের কমিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন।

যদিও ইতিমধ্যেও কোনও রাজনৈতিক দলই পিছিয়ে নেই প্রচারে। মরিয়া প্রয়াশ চালাচ্ছে বিজেপি। ২০১১সালে পট পরিবর্তনের পর থেকে রাজ্যের শাসকদল একের পর এক দূর্নীতির সঙ্গে যুক্তের অভিযোগ তোলেন গ্রামের নিচু তলার মানুষেরা। আর তাই বিধানসভা ভোটের আগে তারা নিচু স্তর শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও অনেকদিন আগে এই উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি।

এদিন রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছে সাংসদ থেকে গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য তাদের নিয়ে এদিন বৈঠক করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয় বর্গীয়র আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের কোনও হেলিকোপটার চাইনি। ত্রিপুরা থেকে হেলিকপটার আসলে সেই হেলিকপটার মালদহে আসেন। বিধায়ক সাংসদদের নিয়ে এদিনের বৈঠক করেছি। আগামীতে এত ছোট করে বৈঠক হবে না। আরও বড়ো করে বড় জায়গায় হবে। বড় পরিবার হলে কিছু না কিছু জটিলতা সমস্যা থাকবে।

আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল যাক। সিপিএম কংগ্রেসের মত আমরাও চাই আস্তা ভোট হোক। তৃণমূল কংগ্রেস আস্থা ভোট যদি বিধানসভায় চায় আমার ধারনা ১০০জন বিধায়কের সর্মথন তৃণমূল পাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আস্থা ভোট চান। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের কাছে আস্থা ভোট চান।

উনি পাশ করতে পারবেন না ডাহা ফেল করবেন। আমরা কেন্দ্রের কাছে ৩৫৬চেয়েছি। প্রয়োজনে ৩৫৬প্রয়োগ করা হবে। এটা কেন্দ্র সরকার বুঝবে।”দুই কোম্পানীর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তিনি৷

আরও বলেন, “সিবিআই তো পুলিশের সাহায্য পাই না। পুলিশ কর্মীর বাড়িতে সি বি আই গিয়েছিল সেখানে সিবাইকে আটকে ছিল। সিবিআই পাঁচ ছয়দিন ধরে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন। দুই তিনজনের নাম সংবাদ মাধ্যমে আসছে। তাদের কান ধরে টানলেই মাথাটা আসবে কালিঘাটের।

কালিঘাটে অভিযান চালাতে গেলে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে। পুলিশ দিয়ে তো কালিঘাটে অভিযান হবে না। কালিঘাটে পিসির মন্দিরে রেড হবে। কারন সেখানে মায়ের মন্দিরে তৃণমূলের লোকজন যায় না পিসির মন্দিরে যায়।”

মদন মিত্র প্রসঙ্গে বলেন, “মদন মিত্র দল থেকে বেড়োবেন না তার গ্যারান্টি রয়েছে। মদন মিত্রের গ্যারান্টি পিরিওড এমনই শেষ হয়ে গিয়েছে।রাজ্য সরকার যদি সঠিক পথে চলে তাহলে এখানে সোনার বাংলা হবে। এখানে যে গৌড় রয়েছে এখান থেকেই সোনার বাংলা তৈরীর কাজ শুরু হবে। বিজেপি আসলেই তা সম্ভব”।

পাল্টা তৃণমূলে জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “সায়ন্তন বসু ভুল বলেন। সেই কারনে নিজের দলের কাছে শোকজ হয়েছেন। ওসব সিবি আই বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর গল্প শুনিয়ে লাভ নেই। বিজেপির ক্ষমতা থাকলে রাজ্যপালকে দিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকিয়ে অনাস্থা আনুক। সায়ন্তন বসুর কথার কোন গুরুত্ব নেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.