দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এবছরের জানুয়ারি মাসে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রথম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন। আর সেই প্রার্থী নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। নন্দীগ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলেই পরিচিত। সেই শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে আসন্ন নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেন মমতা।
তবে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করলেও সেখানে রহস্য রেখেছিলেন তিনি। নন্দীগ্রাম আর ভবানীপুরকে মেজো বোন আর ছোট বোন আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি দুটি আসন থেকেই নির্বাচনে লড়তে পারেন। দুটি আসন থেকেই নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিজেপি সমেত রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলগুলো ওনাকে কটাক্ষ করে। সবাই কটাক্ষের সুরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে ওনার জন্য ভবানীপুর আসন আর সুরক্ষিত নয়, এই কারণে তিনি মুসলিম অধ্যুষিত নন্দীগ্রাম থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এবার বিজেপির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সিদ্ধান্তকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানালো। বিজেপির নেতারা একের পর এক ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানান। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ট্যুইট করে লেখেন, ‘মমতা ব্যানার্জী নন্দীগ্রাম থেকে তাঁর প্রার্থীপদ ঘোষণা করেছেন। যদি তিনি নন্দীগ্রাম থেকে জেতার বিষয়ে এতই নিশ্চিত থাকেন, তবে ঘোষনা করুন শুধু এই কেন্দ্র থেকেই তিনি প্রার্থী হবেন, যাতে পরে তিনি নিজের কথা থেকে সরে না আসেন। নইলে তিনি কি করবেন জানা আছে….”
একই ট্যুইট করেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং’রা।