দুর্গাপুজোয় বিজেপির আধিপত্য ঠেকাতে তৃণমূল যতই কলকাঠি নাড়ুক না কেন তাতে কোনও লাভ নেই। এমনই বক্তব্য রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর। তিনি জানিয়েছেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার ৫ থেকে ৬ টি পুজো কমিটি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই শহরের হেভিওয়েট পুজোগুলির রং বদলের খবর শিরোনামে। শোনা যাচ্ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার পুরোনো পুজো সঙ্ঘশ্রীও এবার সবুজ থেকে গেরুয়া হচ্ছে। এই পুজোর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দোপাধ্যায়। গত বছরও এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়ে মণ্ডপের ফিতে কাটানোর কথা ভেবেছিল কমিটির একাংশ। এমনকি কমিটির সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসুকে। যা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে কমিটির অন্দরে। সংঘাত এতটাই তীব্র হয়েছে যে গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কমিটির সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়।
পুজো কমিটির সভাপতি শিবশংকর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সায়ন্তন বসুকে সভাপতি করার কোনও প্রশ্নই নেই। কমিটির দু-একজন তাকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছিল।
এব্যাপারে সায়ন্তন বলেন, “আমি নিজে থেকে ওদের বলিনি আমাকে সভাপতি করতে। ওরাই আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। সে কথা আমি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে যাই নি।তবে কাদের চাপে যে ওরা সিদ্ধান্ত বদল করল সেটা কারোর বুঝতে বাকি রইল না। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের মুখোশ খুলে গেল।” সায়ন্তন আরও বলেন, “শুধু সঙ্ঘশ্রী কেন এবছর রাজ্যের বহু পুজো কমিটি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শুধু আমার সঙ্গেই রাজ্যের ৪০-৫০ টা পুজো কথা বলেছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ারই আরও ৫ থেকে ৬টি পুজো কমিটি রয়েছে। তৃণমূল কি সবাইকে ভয় দেখিয়ে আটকাতে পারবে?” তিনি বলেন, “দুর্গাপুজোর দখল নিয়ে তৃণমূল যে নোংরামো করছে তা দুর্ভাগ্যজনক। “