ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। বুধবার শ্যামবাজারে বিজেপি-র ধর্না মঞ্চে অর্জুনকে পাশে বসিয়ে মুকুল রায় অভিযোগ তুললেন, তাঁকে, বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষকে এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি-র তরফে বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে।
সন্দেশখালির ন্যাজাটে নিহত বিজেপি কর্মীদের বিচারের দাবিতে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না শুরু করেছে বিজেপি। সেই মঞ্চেই এ দিন গিয়েছিলেন মুকুল, অর্জুন, কৈলাসরা। মুকুল রায়কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন বিজেপি-র আর কোন নেতাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন? জবাবে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেন, “আমাকে, দিলীপকে, কৈলাসজিকেও হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিজেপি-র সমস্ত বড় ও মাঝারি নেতাদের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত চলছে।”
গত রবিবার শ্যামনগরের ঘটনার পর বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছিল, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হামলা চালিয়েছেন। যদিও পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল অর্জুনবাহিনীই ঘটনার মূলে। তারপর নবান্নের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, ব্যারাকপুরে হিংসার নায়ক অর্জুনই। এ দিন মুকুলবাবু বলেন, “জ্ঞানবন্ত আর মনোজ বর্মার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছি। ওঁদের বিরুদ্ধে যে যে দরজায় ঠকঠকাতে হয়ে, সেখানেই যাব।”
এ দিন মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে অর্জুন সিংও ছিলেন ধর্নামঞ্চে। ব্যারাকপুরের সাংসদ এ দিন বলেন, “আমাকে অনেকে বলছেন, আপনি কেন সিপি-র বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করছেন? আমি বলছি শুনুন, আমায় সেদিন মারার সময়ে মনোজ বর্মা বলেছিলেন, কিষেনজিকে মেরে দিয়েছি। তোমায় মারতে দু’মিনিট লাগবে না।”
যদিও তৃণমূল নেতারা বলছেন, গোটা রাজ্যের মানুষ জানে ব্যারাকপুরে আইনের শাসন কায়েম থাকুক তা অর্জুন চান না। সাংসদ বাবা আর বিধায়ক পুত্রই যে ওই এলাকায় নতুন করে আগুন জ্বালাচ্ছে এটা সবাই জানে। তাই সে সব ধামা চাপা দিতে বিজেপি এ সব গল্প বানিয়ে বলছে। ওঁদের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।