পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ বিজেপির শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপরে ‘স্টান গ্রেনেড’ চালিয়েছে। অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ওই জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভারতীয় এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিতর্কিত মোড় নিয়েছে মঙ্গলবার, যখন তিনি জানান, তাঁকে এবং রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে খুন করার জন্যই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ মিছিলে স্টান গ্রেনেড চালিয়েছিল।
সোমবার বিজেপি এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত ছিল বলে দাবি করেছে ভারতী। পুলিশ আগে থেকেই সব জানত। মিছিল দ্বিতীয় ব্যারিকেট পেরোনোর পরই পুলিশ স্টান গ্রেনেড চার্জ করে বলে দাবি করেছেন ভারতী।
কি এই স্টান গ্রেনেড? ভারতীর বক্তব্য, দাঙ্গা বা কোনও ভয়াবহ পরিস্থিতিতেই পুলিশ স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। এটি মারণাস্ত্র। বিকট শব্দ হয়। ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। আগুন বেরিয়ে আসে। বিস্ফোরণ হয়। যিনি আঘাত পাবেন, তার মারাত্মক ক্ষতি হবে। দেহ পুড়ে যেতে পারে। ভারতী বলেন, বিজেপির কয়েকজন কর্মী মারাত্মক জখম হয়েছেন। একজনের চোখ বেরিয়ে গিয়েছে। বিজেপিকে আটকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অস্ত্রের দরকার পড়লো কেন।
ভারতী ঘোষের দাবি, মিছিলে মহিলা, বৃদ্ধা, যুবক যুবতী এবং বিজেপি কার্যকর্তারা ছিলেন। ওই গ্রেনেড তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর মাথায় এসে পড়ে। কিন্তু তিনি প্রশিক্ষিত বলে ঝাঁকিয়ে তা ফেলে দেন। এখনও তিনি হাসপাতালে ভর্তি। অসুস্থ হয়ে পড়েন ভারতীও।
কখন পুলিশ স্টান গ্রেনেড ব্যাবহার করে, প্রাক্তণ আইপিএস ভারতী জানান, আইপিএস ট্রেনিংয়ে দেখানো হয় কোন অস্ত্র মারাত্মক স্বয়ং কোন অস্ত্র কোন ভয়ঙ্কর। এই অস্ত্র সাধারণ মিছিলের জন্য নয়। দাঙ্গা, অস্ত্র হাতে উন্মত্ত জনতাকে সামাল দিতেই একমাত্র স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করতে পারেন পুলিশ।