২০১৪ সালে যখন পুরো পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলকরণ তখন আসানসোলের মানুষ বিজেপির উপর ভরসা দেখিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। ২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালেও একই অবস্থা, পুনরায় আসানসোল থেকে আরো বেশি ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। বাবুল সুপ্রিয় সেলেব্রিটি জগতে চেনা মুখ হলেও রাজনৈতিক জগতে নতুন মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন। তা সত্ত্বেও আসানসোলের মানুষজন এই প্রার্থীর উপর ভরসা দেখিয়ে ছিলেন। আর এখন আরো একবার বিজেপি সমর্থকদের মন জয় করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।
আসলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন প্রচণ্ড শক্তিশালী দল হিসেবে উঠতে শুরু করেছে। যার পর থেকে প্রচুর লোকজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ট্রেন্ড শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূল ও সিপিএম থেকেও বহু সংখ্যায় লোকজন বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে বাছাই না করেই পার্টিতে লোকজন ঢুকিয়ে নেওয়ার জন্য রীতিমতো বিরোধ দেখা গেছে বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা অনুপমের হাত ধরে অনেক তৃণমূল নেতা কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেছিল যার উপরেও তীব্র বিরোধ হয়েছিল। সম্প্রতি মনিরুল ইসলামের বিজেপিতে যোগদানকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরমহলে তোলপাড় শুরু হয়েছিল।
তবে গতকাল বাবুল সুপ্রিয়র কর্মকান্ড সমস্থ বিজেপি সমর্থকদের মন জয় করে নেয়। আসলে গতকাল আসানসোলের জামুড়িয়ায় একটি জনসংযোগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানেই বিজেপির লক্ষ্মণ বাউরির হাত ধরে ২০০ জন তৃণমূল সিপিএম কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করতে এলে বাবুল সুপ্রিয় ফিরিয়ে দেন। বাবুল সুপ্রিয় ২০০ যখন তৃণমূল সিপিএম কর্মীদের বলেন পার্টিতে যোগদানের আগে মনটাকে বিজেপির মতো করুন।
বাবুল সুপ্রিয় বলেন- “যে কেউ এসে পার্টিতে যোগদান করবে বলবে, এত সহজ নয়। যদি আমি সবার হাতে ঝান্ডা ধরিয়ে দি তাহলে আপনাদের পরিশ্রম বিফলে যাবে।” একদিকে যখন সকলে পার্টিতে কর্মী যোগদান করিয়ে ক্রেডিট নিতে ব্যাস্ত তখন বাবুল সুপ্রিয় পার্টিকে স্বচ্ছ রাখার কাজ করছেন বলে অনেকের মত। দলবদলের খেলায় বাবুল সুপ্রিয় পার্টিকে স্বচ্ছ রাখার জন্য পরিশ্রম করছে বলে মত নেটিজনদের।