এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি (BJP)।রেশন দুর্নীতি, দলীয় জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া সহ করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে সরব বিজেপি (BJP)।
রবিবার রাজ্যজুড়ে প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল বিজেপি র নেতা- কর্মীরা। লকডাউন পর্বে এটাই বিজেপির প্রথম প্রতিবাদ।বিজেপি কর্মী-নেতা নেত্রীরা নিজের বাড়িতে বসেই এই প্রতীকী প্রতিবাদে শামিল হলেন।সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে প্রতিবাদে শামিল বিজেপির নেতা নেত্রী কর্মীরা।কলকাতা সহ একাধিক জেলাতেও বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বিজেপি নেতা কর্মীরা। রবিবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha), বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) , বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় (Subrata Chatterjee) , কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriya), হুগলি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukant Majumdar) ,বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar) সহ বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল (Shyamapada Mandal) ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিজ বাড়িতেই অবস্থান বিক্ষোভ সামিল বিজেপির নেতা -কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ভোর চারটে সাড়ে চারটে থেকে লাইন দিচ্ছেন মানুষ। রেশন দোকান কখন খুলছে তার ঠিক নেই। অনেক জায়গায় বিকেল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মাইক নিয়ে নাটক করছেন।তৃণমূলের অনেক পার্টি অফিস এবং ক্লাবে রেশন দোকান থেকে নিয়ে যাওয়া চাল ও অন্যান্য সামগ্রী জমা করা হয়েছে এবং দলের নামে বিলি করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা কর্মীদের ত্রাণ কাজে বাধা দিচ্ছে পুলিশ’।
অন্যদিকে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে বিজেপি দলগতভাবে বাংলার মানুষের পাশে আছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোটা রাজ্যে আমাদের নেতা-কর্মীদের ত্রাণ দিতে বাধা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার চাল-গম রাজ্যের গরিব মানুষের মধ্যে বিলি না করে তৃণমূলের নেতারা তা চুরি করছেন ‘।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন , ‘রেশন নিয়ে হাহাকার চলছে। গরিব মানুষের অবস্থা সংকটজনক । যে অবস্থা চলছে সেই অবস্থা থেকে চলতে থাকলে, তাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে যতজন না মারা গেছে তার থেকে বেশি মারা যাবে খেতে না পেয়ে। কিন্তু তবুও মুখ্যমন্ত্রী নির্বিকার’।