যখন বিহারের বিধানসভা ভোটে ৫০-৫০ আসন রফার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি ও নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) ঠিক সেই সময়ে বিরোধী জোটে ফাটল লক্ষ্য করা গেল। আসন রফার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত। খালি কয়েকটি বিষয় ভাবাচ্ছে এনডিএ জোটকে। তার মধ্যে অন্যতম হল রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। তারা এবার বিহারে এনডিএ জোটের মধ্যে থেকে লড়বে, নাকি জোট ভেঙে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই পরিষ্কার নয়। সূত্রের খবর, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২২টি আসনে প্রার্থী দেবে জেডিইউ। অন্যদিকে ১২১টি আসনে প্রার্থী দেবে বিজেপি। নীতীশ কুমারের দলের আসন সংখ্যার মধ্যেই জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চাকে ধরে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যদি রামবিলাসের লোক জনশক্তি পার্টি এনডিএ জোটের মধ্যে থাকতে চায়, তাহলে বিজেপির আসন থেকে তাদের আসনের ভাগ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ রামবিলাস পাসোয়ান (Rambilas Paswan)। শনিবার সন্ধে থেকে নতুন কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় গভীর রাতে তাঁর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। তাই লোক জনশক্তি পার্টির (LJP) পক্ষে আসন সমঝোতা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন তাঁর সাংসদপুত্র চিরাগ। জানা গিয়েছে জোটের কাছে তিনি দলের জন্য ৪২টি আসনের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু বিহারের এনডিএ জোট এর ছোট শরীরকে ১৫টি আসনের বেশি দিতে রাজি নয় বিজেপি। বিহারের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এমন দড়ি টানাটানি তে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে লোক জনশক্তি পার্টির সঙ্গে ভেঙে যেতে পারে বিজেপি- জেডি (ইউ) (BJP – JD (U)) জোট। অন্যদিকে তেজস্বী যাদবকে (Tejaswi Yadav) মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী করে ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে বিরোধী জোট। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নিয়ে জোট তৈরি করেছেন লালুপুত্র। আরজেডি ১৪৪টি আসনে, কংগ্রেস ৭০টিতে ও বামেরা ২৯টি আসনে লড়াই করবে।
তবে বিরোধী জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে বিহারের রাজনৈতিক দল বিকাশশীল ইনসান পার্টি। শনিবার বিরোধী জোটের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যায় বিকাশশীল ইনসান পার্টি। দলের প্রধান মুকেশ মাল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁকে ২৫টি আসন ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু তা রাখেননি তিনি। আরজেডি (RJD) প্রধান তেজস্বীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তিনি। পরে টুইট করে মুকেশ বলেন, “আজ আরজেডি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ছুরি মারলেন। নিজেরা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের দল হওয়া সত্ত্বেও আরজেডি পুরো সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে বিকাশশীল ইনসান পার্টি। বিহারের মানুষ ভোটে আরজেডিকে শিক্ষা দেবে।”