বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আসবেন৷ তার আগমনকে ঘিরে রাজ্য বিজেপি দফতরে ব্যস্ততা তুঙ্গে৷ কার্যকরী সভাপতি হিসাবে নাড্ডা এই প্রথম রাজ্যে আসছেন৷ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীর পরিকল্পনা করছে রাজ্য বিজেপি৷ সেক্ষেত্রে, রাজ্যে বিজেপি কীভাবে পরবর্তী রণনীতি স্থির করবে সে ব্যাপারেও নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সেরে রেখে যাবেন নাড্ডা৷
২৭ সেপ্টেম্বর গঙ্গায় নিহত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তর্পন করবেন নাড্ডা৷ যা শোনা যাচ্ছে, সল্টলেকে ইস্টান জোনাল কালচারাল কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখবেন নাড্ডা৷ মোদী সরকার ২.০ -তে প্রথম ১০০ দিনে যা কাজ হয়েছে বা যে গুরুত্বপূর্ণ বিল আইনে পরিণত হয়েছে, তার গুরুত্ব বোঝাবেন নাড্ডা৷ তবে কার্যকরী সভাপতির বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশজুড়ে থাকবে আর্টিকেল ৩৭০ এবং ৩৫এ নিয়ে আলোচনা৷ মোদী সরকার কেন কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার খর্ব করেছে তা ব্যাখ্যা করবেন নাড্ডা৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসে বিজেপি কর্মীরা নিহত হয়েছেন। নিহত বিজেপি কর্মীদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তা কেন্দ্রীয় পার্টির মাধ্যমে একাধিকবার পৌঁছে গিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ( বর্তমানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও) পশ্চিমবঙ্গে এসে বারবার বিষয়টি নিয়ে নিজেদের বক্তব্যে সরব হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নিহতের সংখ্যা (অভিযোগ অনুসারে) ৮০ এরও বেশি। মহালয়ার দিন কলকাতায় এসে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করবেন নাড্ডা।
তুখড় সংগঠন ‘জেপি’ বিজেপির কার্যকরি সভাপতি হিসাবে এই প্রথম কলকাতায় আসছেন৷ শোনা যাচ্ছে, বিস্তারক কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যে পার্টির কী অবস্থা তা খতিয়ে দেখবেন তিনি৷ দেখবেন সদস্যতা অভিযানের ফল কতটা পাওয়া গিয়েছে৷
ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপিতে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেশ কিছু নেতা এসেছেন৷ কেউ কেউ কাজ করতে শুরু করেছেন৷ আবার কেউ এখনও সেভাবে মাঠে নামেননি৷ কেন সমন্নয়ের অভাব হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন নাড্ডা৷ ২৮ সেপ্টেম্বর নাড্ডা ফিরে যাওয়ার পরই ১ অক্টোবর রাজ্যে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এনআরসি নিয়ে বক্তব্য রাখবেন৷