ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর উপর হামলার ঘটনাইয় সোমবার ব্যারাকপুর লোকসভা বনধের ডাক দিল বিজেপি। দলের জেলা সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র জানিয়েছেন, সোমবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
লেকটাউন এবং বর্ধমানে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলা, বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের উপর হামলা এবং রবিবার অর্জুন সিং-এর উপর হামলা–এই তিন ইস্যুতে আগেই সোমবার রাজ্যের সব জেলায় পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু অর্জুনের ঘটনা নিয়ে একেবারে বনধের ডাক দিয়ে দিল বিজেপি।
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই বনধের বিরোধিতা করেছে। দলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাংলা থেকে বনধের সংস্কৃতি তুলে দিয়েছেন। কালও বনধ হবে না। প্রশাসন রাস্তায় থেকে জনজীবন স্বাভাবিক রাখবে।”
উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে পার্টি অফিস দখল ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা৷ বিজেপির অবরোধ তুলতে গেলে ধুন্ধুমার বাঁধে পুলিশের সঙ্গে৷ সার্কাস মোড়ে অবরোধ তুলতে গেলে ইটবৃষ্টি হয়৷ পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় র্যাফ৷ এই সময়েই মাথা ফাটে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের৷ ইটের আঘাতে আহত বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও৷ পুলিশের দাবি, ইটের আঘাতেই মাথা ফেটেছে অর্জুনের। তবে সাংসদের দাবি ইঁটের ঘায়ে নয়, পুলিশের লাঠির আঘাতেই মাথা ফেটেছে তাঁর৷ রবিবার অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনেও বোমাবাজি হয়৷ তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মুকুল রায়। টুইট করে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লিখেছেন, “, “গোটা ঘটনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছি।” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্য পুলিশ গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।”
গত কয়েক মাসে ভাটপাড়া, জগদ্দলের হিংসার ঘটনায় বহুবার ট্রেন অবরোধ হয়েছে। শিয়ালদহ মেন শাখার ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। যাত্রীভর্তি লোকাল ট্রেনে বোমা মারার মতো ঘটনাও ঘটেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন ব্যারাকপুর জুড়ে আতঙ্ক, সোমবার বনধ ঘিরে কী না কী হয়।