আক্রান্ত বিজেপির বুথ এজেন্টের পরিবার, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বারাকপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র এলাকা জুড়ে । এবার বিজেপির বুথ এজেন্ট হিসেবে ভোটের দিন কাজ করায় উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানার অন্তর্গত হালিশহরের টিকটিকির বাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় আক্রান্ত হয় বিজেপি সমর্থিত জনৈক ঘোষ পরিবারের সদস্যরা । রবিবার গভীররাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, হালিশহর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী বুথে বিজেপির হয়ে বুথ এজেন্টের কাজ করেছিল তাপস ঘোষ। সেই ঘটনার জেরেই তাপসের পরিবার রাজ্যের শাসক দলের রোষের শিকার হয়।

রবিবার বীজপুরের ১১৬ নম্বর বুথে পুনঃ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বুথেও বিজেপির বুথ এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল তাপস । তাপসের পরিবার এলাকায় বিজেপি সমর্থিত পরিবার বলে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তৃণমূল কর্মীরা তাপসকে বিজেপি ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তাপস বিজেপির একনিষ্ট কর্মী হিসেবে কাজ করেছে, তাতে তাপস ও তার পরিবার তৃণমূলের বিরাগ ভাজন হয়।

তাপসের উপর হামলা হতে পারে আশঙ্কায় সে ইতিমধ্যেই ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে । রবিবার রাতে তাপস ঘোষের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে তাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়। ঘোষ পরিবারের দাবি, তাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তাদের একটি মোবাইলের দোকান থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা লুঠ করা হয়েছে।

বীজপুরে বিজেপির বুথ এজেন্টের পরিবার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সোমবার ওই পরিবারের আক্রান্তদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি এদিন বলেন, “এখানে গণতন্ত্র বিপন্ন৷ বিজেপি করার অপরাধে দিলীপ ঘোষ, মলয় ঘোষের দলবল আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী তাপস ঘোষের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করেছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ দলদাস হয়ে গেছে। ওরা যে ভাষায় কথা বলছে, সেই ভাষাতেই ওদের উত্তর দেবে মানুষ।”

এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে। ঘটনার বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বীজপুর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.