তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিজেপির কার্যালয়, নেতার বাড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ হরিরামপুরে, পুলিশকে হুঁশিয়ারি সাংসদের

ক্যাব নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল থেকে হামলা চালানোর অভিযোগ বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে। ভাঙ্গচুর করার পাশাপাশি লাগানো হল আগুনও। ভাঙ্গচুর করা হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বাড়িতেও। রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সোনা পালের নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। তৃণমূলী জেহাদিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আইন হাতে তুলে নেবে সাধারণ মানুষ পুলিশ প্রশাসনকে হুংকার দিয়ে জানালেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।

ক্যাব ও এনআরসির প্রতিবাদে সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের ৮টি ব্লকেই এদিন বিকেল থেকে রাস্তায় নেমে মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।

হরিরামপুরে তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল ওরফে সোনার নেতৃত্বেও চলছিল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল। যেখান থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকার বিজেপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাবার সময় ভেঙ্গে তছনছ করে পার্টি অফিস বলে অভিযোগ। জানালা দরজা ভেঙ্গে পার্টি অফিসের সামনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এর পরেই বিজেপির যুব মোর্চার জেলা কমিটির সদস্য বিধান রায়ের বাড়িতেও চলে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের তান্ডব বলে অভিযোগ। বাড়িঘর ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি লাগানো হয় আগুন।

ঘটনা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলী জেহাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিজেপি কর্মীরা আইন হাতে তুলে নেবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংসদ। যদিও এই ঘটনা সম্পুর্ণ অস্বীকার করে নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরেও পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। তৃণমূলী জেহাদীরা তাঁদের কার্যালয় ও তাঁদের কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়েছে। সোনা পালের নেতৃত্বে এই তান্ডব চলেছে এলাকায়। সময় থাকতে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে খেসারত গুনতে হবে প্রশাসনকে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.