লোকসভা ভোটের আগে এরাজ্যে কোমর বেঁধে নামছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূলকে যে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেনা সেটা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তবে তৃণমূলের মত সেলিব্রেটিদের উপর ভরসা করে নেই বিজেপি। প্রার্থী তালিকায় সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা। এবার কাজের মানুষকে টিকিট দিয়েই এরাজ্যে নিজেদের ঘাঁটি গাড়তে মরিয়ে গেরুয়া শিবির।
আর সেই ক্রমেই এরাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রের তাবড় তাবড় বিজেপি নেতারা। আগামী ৩রা এপ্রিল এরাজ্যে দুটি সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম সভা হবে উত্তরবঙ্গে এবং দ্বিতীয় সভা কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সবকটি রাজনৈতিক দলই ব্রিগেডে সভা করে তাঁদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়। আর সেই জন্যই ব্রিগেডের সভার দিন অথবা তাঁর তিন-চার দিন আগে থেকেই রাজ্যের কোথাও কোন বড় সভা রাখেনা তাঁরা।
আর তাঁর প্রধান কারণ হল, অন্য যায়গায় বড় সভা হলে, ব্রিগেডে লোক কম হবে। শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে শেষে ক্ষতি না হয়ে যায় এই ভয়েই বাকিরা ব্রিগেডের আগে অথবা পরে রাজ্যের অন্য কোথাও কোন বড় সভা রাখেনা।
কিন্তু বিজেপি তাঁদের থেকে ভিন্ন পথে হেঁটে ব্রিগেডের দিনেই উত্তরবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সভার আয়োজন করেছে। উত্তরবঙ্গে ওইদিন সভা হলে ব্রিগেড ভরানো যে মুশকিল সেটা বিজেপির নেতারা ভালো মতই জানেন। কিন্তু তা স্বত্বেও ওই দিন ব্রিগেডে সভা রেখে বেশ চমক দিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। আর রাজ্য বিজেপির নেতে মুকুল রায় ওই দিন ব্রিগেড ভরানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
আরেকদিকে রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আগামী মাসেই উনি রাজ্যে দুদিনের সফরে আসবেন বলে বিজেপি সুত্রের খবর। তবে তাঁর আগে আজ রাজ্যে আসতে চলেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
ত্রিপুরায় ২৫ বছরের অপশাসন কে হটিয়ে নতুন সূর্যের উদয় করিয়েছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। আজ উনি দমদমের বিজেপির প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের সমর্থনে দুপুর ১টায় বিরাটি মহাজাতি মাঠে একটি জনসভাকে সম্বোধিত করবেন।