শহরে শুরু করোনা ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্তকরণ, করতে পারেন আবেদন

করোনা ভ্যাকসিন কবে আসবে, এই প্রশ্নের উত্তর এখন আর কঠিন নয়। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের তৃতীয়. পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এমনকী বেশ কয়েকটি দেশে করোনা ভ্যাকসিনের মাস ভ্যাকসিনেশনও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার পালা ভারতের। গুজরাতের আহমেদাবাদে এবার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হল।

আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে যাঁরা করোনা ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক, তাঁরা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

এদিকে, কারা কারা ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রথম তালিকায় রয়েছেন, তা প্রকাশ করেছে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। জানানো হয়েছে করোনা যুদ্ধের সামনের সারির সৈনিকরা এই ভ্যাকসিন পাওয়ার দাবিদার। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে করাতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।

এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীরা ছাড়াও ৫০ বছর বয়েসের অধিক বয়েসীরা, ৫০ বছরের নীচে যাঁরা কঠিন অসুখে ভুগছেন, তাঁরা প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকারী। গুজরাত সরকার জানিয়েছে ইতিমধ্যেই ৩.৯ লক্ষ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে যাঁরা করোনা ভ্যাকসিন পাবেন। তাঁদের নাম প্রাথমিকভাবে নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।

করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার দ্বিতীয় তালিকায় পুলিশ কর্মী, হোম গার্ড, ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন। এরপরে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে।

এদিকে, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। এমনই দাবি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের। আইসিএমআরের ট্যুইট বার্তা জানাচ্ছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি। যে তথ্য এই ভ্যাকসিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে, তা বেশ আশাপ্রদ। এই ভ্যাকসিন কার্যকরী ও নিরাপদ বলেও জানিয়েছে আইএমসিআর।

কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। এই সংস্থার সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে কাজ করছে আইসিএমআর। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন বেশ কার্যকরী ফল দিচ্ছে ট্রায়ালে। ফলে এই ভ্যাকসিনের উপযোগিতা নিয়ে বেশ আশাবাদী তাঁরা। যদি ফেব্রুয়ারিতে কোভ্যাক্সিনকে লঞ্চ করা হয়, তবে এটিই হবে দেশের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। এর আগে হায়দরাবাদের এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দোসরা অক্টোবর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট জমা দেয় ডিজিসিআইয়ের কাছে। তারপরেই সেটি সফল বলে ঘোষণা করা হয়। অনুমতি মেলে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.