দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকে অপসারিত তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে অধিকারী পরিবারের সাথে দূরত্ব বাড়ছিল তৃণমূলের। আর সেই কারণে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। প্রথমে সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসনের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। এরপর তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ শিশির অধিকারীকে DSDA থেকে অপসারণ করা হল।
শিশির অধিকারীকে DSDA এর চেয়াম্যান পদ থেকে সরিয়ে সেই পদে বসানো হয়েছে অখিল গিরিকে। তৃণমূলের এই পদক্ষেপের পর ঘাসফুল আর অধিকারী পরিবারের মধ্যে যে দূরত্ব আরও বাড়বে সেটা বলাই বাহুল্য। আরেকদিকে তৃণমূল নেতা অখিল গিরি এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমার কাছে এখনো কোনও সরকারি কাগজ আসেনি। আমি মিডিয়ায় এই খবর শুনলাম। সরকারি নির্দেশিকা আসুক, তারপর আমি আমার মতো করে কাজ করব।”
অখিল গিরি আরও বলেন, ‘DSDA এ পদে থাকাকালীন উনি বিগত কয়েকমাস ধরে কোনও বৈঠক করছিলেন না। আর উনি এখন অসুস্থ, তাই হয়ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি থাকতে চাইলে অবশ্যই থাকুক। ওনার অসুস্থতার কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।” এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষেরও একই মত।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কাঁথিতে সভা করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় আর রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সভায় শিশির অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি উপস্থিত থাকেন নি। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি হাঁটতে পারছেন না, সেই কারণে সেখানে যেতে পারবেন না।
জানিয়ে রাখি, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবার আর মেদিনীপুরে সমীকরণ বদলাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের একের পর এক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আর এরমধ্যে শিশির অধিকারীকে পদ থেকে সরানোর পর নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।