বাংলার বামপন্থী চলচ্চিত্র পরিচালক ও বাংলার তৃণমূলী দুর্নীতি :-

Facebook পাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে একটি ‘live’ video চোখে পড়লো যার screenshot টা হলো ওপরের ছবিটা। Video তে দেখলাম এক ডাকসাইটে বামপন্থী চিত্রপরিচালক কুই কুই করে তার দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু বক্তব্য রাখছেন। বক্তব্যের বিষয় বস্তু হলো এই যে – গত সপ্তাহে তার একটি ‘রাষ্ট্রই একমাত্র শত্রু যে আমাদের সব কেড়ে নিচ্ছে। ভাত দে’ গোছের ছবি মুক্তি পায়। ছবিটি প্রথম সপ্তাহে নন্দন ছাড়া কোথাও তেমন সাড়া কাটতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ এই সপ্তাহে নাকি বিভিন্ন hall এ ভালো দর্শক হচ্ছিলো কিন্তু এর মধ্যেই বড়ো ভাই অর্থাৎ বড়ো budget এর হিন্দী ছবি এসে বাদ সাদলো এবং ছবিটি কে hall থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো।। এরম ভাবে এখানের hall গুলির উপর যদি হিন্দী ছবির আধিপত্য বজায় থাকে, তাহলে বাংলা ছবি মারা পড়বে। তাই বাংলা ছবির পাসে দাঁড়ান, বসুন, পারলে শুয়ে পড়ুন। উল্লেখ্য বিষয় হলো যে এই ছবির মুক্তির দিন বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত ছিল বাংলাপক্ষের শ্রীযুক্ত গড়গড়িবাবু! ????

আসল কথাটা তো আর বামবাবু মানে শ্রীযুক্ত ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী মশাই বলবেন না, যে তার ছবি, ‘মায়ার জঞ্জাল’ কে বাংলার মানুষ জঞ্জাল ভেবেই একদম মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই আস্তা কুঁড়ে তে ছুঁড়ে ফেলেছে। আর এরম কেঁদে কেটে comrade ভাবছেন যদি একটি সহানুভূতি কুড়িয়ে অন্তত OTT র দর্শকদের দেখানো যায়! ওনার এই ছবি এতো দারুন হলে প্রথম সপ্তাহেই বাজী মাত করতো। ‘তু ঝুটি ম্যা মক্কারের’ অপেক্ষায় থাকতো না, যা এক সপ্তাহ পরে মুক্তি পেয়েছে!

এবার খেয়াল করে দেখুন যে Pathaan ছবি মুক্তি পাওয়ার সময় ও কিছু বাংলা ছবির নির্দেশক ও অভিনেতা ঠিক এই ভাবেই facebook এ এসে কান্নাকাটি করেছিল – যেমন নির্দেশক কৌশিক গাঙ্গুলীর বক্তব্য ছিল যে তার ‘কাবেরী অন্তর্ধান রহস্য’ Pathan এর জন্য hall পাচ্ছে না। যদিও Pathan ছবির প্রচার করতেও ভোলেন নি তিনি।

এখন কথা হলো এই যে, হটাৎ করে বাংলা চলচ্চিত্রের কুশিলবদের কি হলো যে তারা facebook live এসে ‘সব গেলো, please বাঁচাও’ ধরনের কান্নাকাটি জোড়া শুরু করলো? এটা কি fashion? এতে কি কোনো লাভ হচ্ছে? একেবারেই তা নয়।। তাহলে কেন? এর দুটো কারন হতে পারে:

  • ১. হিন্দী ছবির পরোক্ষ প্রচার কারন আমরা প্রত্যেকেই অবগত যে bollywood / beefwood পুরো ধসে গেছে। Pathan কে তো জোর করে hit ঘোষণা করা হলো।। Hall থেকে বিদেয় নেয়ার পর ও collection এর ফিরিস্তি ই বলে দিলো যে এটা কতটা মিথ্যে। তাই বাংলা ছবির সাথে যুক্ত এই বুদ্ধিজীবী নামক সরীসৃপদের দিয়ে এই কাজটা করানো হচ্ছে, যা অন্য কোনো ভাষার চলচ্চিত্র শিল্পী mরা করবে না।

২. যেটা আরও মারাত্মক। আজ থেকে ৬ মাস আগে খড়্গপুরের BJP বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন যে গরু পাচারের টাকা বাংলা cinema তে খাটছে।। এ নিয়ে তৃণমূলের ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের সাথে তিনি বাকি বিতন্ডায় জড়িয়েও পরেন। তাও ওই এক ই কথা উনি মাস দু এক আগেও বলেন। উনি নিজে যেহেতু অভিনয় জগতের মানুষ, এই বিষয়ে উনি আমাদের চেয়ে একটু বেশি জানবেন বলেই আশা করি। উল্লেখ্য বিষয় হল যে দেব ও গরু পাচার মামলায় CBI এর জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED র হাতে তৃণমূলের যুব নেতা, কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর জানা যায় যে নিয়ক কেলেঙ্কারি তে সংগ্রহ করা কালো টাকার বেশ কিছুটা অংশ কুন্তল বাংলা ছবিতে খাটায়। এর পর তৃণমূলের আরেকটা নেতা, শেখ শহীদ ইমাম ও গ্রেফতার হয়, সেই শহীদ ইমাম যে বেশ কয়েকটি music video করে, যার মধ্যে একটি ছিল রাখি সাওয়ান্তের সাথে। সেই কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে টাকা যায় আরেক tolly অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের account এ। আজ ED বনি সেমগুপ্ত কে ডেকে জেরা করে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এ রাজ্যে চলে পাহাড় প্রমান দুর্নীতি তে নেতা থেকে অভিনেতা সবাই জড়িত।
এখন কথা হচ্ছে যে এই ভাবে যদি বাংলা ছবি বানানোর টাকা এবং টাকা দানকারিরা সবাই ED /CBI এর হাতে ধরা পড়ে তাহলে বাংলা ছবির ভাতের জোগাড় হবে কোত্থেকে।। এতদিন বামপন্থী/হিন্দুবিদ্বেষী propaganda ছবি ওই টাকার জোরে বেঁচে ছিল, তা সে ছবি hall এ চলুক বা না চলুক। কিন্তু আজ তো ওই টাকার উৎস তে ছিপি কষিয়ে দিচ্ছে ED/CBI। তাই ছবি চালাতে গেলে দর্শকদের কাছেই ‘ভাত দে, ভাত দে ‘ বলে কেঁদে সাহনুভূতি কুড়োতে হবে বামাটি চলচ্চিত্র নির্মাতা কে।

আমরা জানি যে বরাবরই হিন্দী ছবির ভারে বাংলা ছবি কে নতি স্বীকার করতে হয়েছে কারন এখানকার শিল্পীদের দম নেই এর প্রতিবাদ করার। উপরন্তু আমরা দেখেছি যে অসংখ্য বাংলা ছবিতেই হিন্দী ছবি, হিন্দী গান ও হিন্দী ছবির অভিনেতা /অভিনেত্রীদের promote করা হয়, যা অন্য কোনো ভাষায় হয় না। এর পর ও যদিও হিন্দীর জন্য বাংলা chance পাচ্ছে না বলে এরা চিল চিৎকার করে তখন এদের দু মুখো বললেও কম বলা হবে।

এরম অসম প্রতিযোগিতাতের মাঝেও আগে বাংলা ছবি ভালো ব্যবসা করেছে কারন এক সময় বাংলা ছবি ছিল ভারত সেরা। আজকের দিনেও ‘প্রজাপতি’ ছবিটি রমরমিয়ে চলছে, মুক্তির আড়াই মাস পরেও। Pathan বা অন্য কোনো হিন্দী ছবি তাকে ম্লান করতে পারেনি। কাজেই ছবির গুম্মান ভালো হলে তা চলবেই। Propaganda কেউ বেশিদিন সহ্য করতে পারে না, রাজনৈতিক মতাদর্শ যার যাই হোক না কেন। এটা যত দিন না বামাতি পরিচালক / অভিনেতারা বুঝবেন ততদিন তাদের ছবি মুখ থুবড়ে পড়তেই থাকবেন।

তাই বাংলার আপামর সংস্কৃতি মনস্ক মানুষদের কাছে আবেদন যে এই দু মুখো ছবি বিক্রি ওয়ালাদের কুমিরের কান্নায় ভুলবেন না। অচল মাল বর্জন করতে থাকুন। জাতীয়তাবাদী শিল্পীদের কাছে আবার আবেদন করছি কিছু ভালো quality র বিকল্প ছবি তৈরী করে বাংলার মানুষ কে দেখিয়ে দিন যে বাংলার প্রকৃত শিল্প ও সংস্কৃতি টা আসলে কি।

BengaliFilms #WBScam #TMCScammers #CulturalGenocide #LeftInclinedFilms

রনিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.