পঞ্চম দফায় শনিবার সকাল ৭টা বাজতেই শুরু হয়ে গিয়েছে ৪৫ আসনের ভোটগ্রহণ। এর আগে ৪ দফায় রাজ্যের ১৩৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এই দফায় ভোট কালিম্পঙের ১, দার্জিলিঙের ৫ এবং জলপাইগুড়ির ৭ বিধানসভা আসনের সবগুলিতেই। এ ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৩টির মধ্যে ১৬, নদিয়ায় ১৭টির মধ্যে ৮ এবং পূর্ব বর্ধমানের ১৬টির মধ্যে ৮ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।
রাজ্যে প্রথম ৩ দফার ভোট বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া মোটের উপরে শান্তিপূর্ণ হলেও চতুর্থ দফায় পাঁচটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেটাও অবশ্য শুধুমাত্র কোচবিহার জেলার শীতলখুচি আসনে। বাকি ৪৩ আসনে তেমন কোনও কোনও অভিযোগ ওঠেনি। শীতলখুচিতে বুথের লাইনে এক জনের মৃত্যু হয় দুষ্কৃতীর গুলিতে। আর বাকি ৪ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। আর তা নিয়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। তবে শনিবার আরও সতর্ক নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দফার ভোটগ্রহণের জন্য মোট ১ হাজার ৭১ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন হয়েছে। এর মধ্যে ভোটের কাজে ব্যবহার হবে ৮৫৩ কোম্পানি। বাকি বাহিনী থাকছে প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য। শুধু বারাসতেই মোতায়েন রাখা হয়েছে ৬৯ কোম্পানি আধাসেনা। এই দফায় অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র বিধাননগর আসনটি। এই কেন্দ্রে এ বার মুখোমুখি লড়াই দুই প্রাক্তন সহযোদ্ধা সুজিত বসু এবং সব্যসাচী দত্তের। জানা গিয়েছে, হেভিওয়েট এই লড়াই শান্তিপূর্ণ রাখতে ৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। শনিবার পাহাড়েও ভোটগ্রহণ রয়েছে। দার্জিলিঙে ৬৮ কোম্পানি এবং কালিম্পঙে থাকছে ২১ কোম্পানি আধাসেনা থাকছে। শিলিগুড়িতে ৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। উত্তরবঙ্গের আর এক জেলা জলপাইগুড়িতে ১২২ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন রাখা হয়েছে।
শুধু বিধাননগর নয়, এই দফায় নজরকাড়া কেন্দ্র অনেকগুলিই। ভাগ্য নির্ধারণ হবে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু গৌতম দেব, তাপস রায়, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। ভোট রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রর কেন্দ্র কামারহাটিতেও। আর তারকা মুখের মধ্যে শনিবারের ভোটে লড়ছেন অভিনেত্রী বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ২ জন। বারাসতে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এবং রাজারহাট-গোপালপুরে অদিতি মুন্সি।