নভেম্বর মাসের মধ্যে উপ- নির্বাচন না হলে সমস্যায় পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন থেকেই নির্বাচন করানোর জোর আওয়াজ তুলতো দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। অবশ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের উপর ভোট করানো নিয়ে আক্রমন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। অন্যদিকে এখন করোনা পরিস্থিতিতেও ভোট করাতে ব্যাকুলভাবে দাবি তুলেছে মমতার দল।
বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। তবে বিধানসভা থেকে নির্বাচিত নন মমতা ব্যানার্জী। এর কারণ নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জী প্রার্থী হলেও বিজেপির কাছে হারের সম্মুখীন হয়েছিলেন। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মমতা ব্যানার্জীকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নাহলে মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না।
অন্যদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে যেহেতু স্বাস্থ্যমন্ত্রক ১০০ থেকে ১২৫ দিনের জন্য চূড়ান্ত সতর্কবার্তা জারি করেছে, সেহেতু বাংলায় কী আদৌ উপনির্বাচন হওয়া সম্ভব? শাসক দল তৃণমূল বাংলায় উপ নির্বাচন করানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেও, কমিশন সেই নিয়ে তেমন কোনও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। বঙ্গে ভোটের ফলাফল ঘোষণা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, যে কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেখানে কোভিডের সংক্রমণের হার একদম কম। উপনির্বাচন করানোর জন্য তৃণমূলের অতি সক্রিয়তা নিয়ে আক্রমন করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিজেপিকে ঠেকাতে মিছিল, জনসভা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক দল।’ মমতা ব্যানার্জীর উপর গুরুতর অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আবার কোভিডের পজিটিভিটি রিপোর্টও কম করে দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে।
শুভেন্দু বলেন, নন MLA মুখ্যমন্ত্রী ছটফট করছেন। নভেম্বরের ৪ তারিখের মধ্যে জিততে না পারলে ওনার পদ যাবে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে আর কেউ নেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যে উপনির্বাচন করানোর জন্য উনি সব জায়গায় করোনার রিপোর্ট কম করে দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। উনি বলে দিয়েছেন, এসব না করবে আমি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারব না।” উত্তরাখণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডে আমাদের নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আমরা পাল্টে এমএলএ-কে মুখ্যমন্ত্রী করেছি। বিজেপি মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে উপনির্বাচনে যায়নি।”