‘উনি তো দুগ্ধ পোষ্য শিশু নন, বয়স তো অনেক হল সত্যিটাই বলা ভালো’, রাজীবকে নিশানা সুকান্তর।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগদানের পর এনিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুকুল রায়ের পর রাজীবও দল ছাড়ায় সামান্য হলেও ধাক্কা খেল ঘাসফুল শিবির।

রাজীবের ঘরে ফেরা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপিতে যারা আসেন তাদের সবাইকেই যোগ্য সম্মান দেয় দল। সেই নীতি মেনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেই সম্মান দিয়েছিলাম। অনেকেই সেই সম্মান রাখতে পারেন না বা কেউ যোগ্য হন না। তাই যারা যোগ্য নন তারা চলে যাবেন। কে কোন রাজনৈতিক দল করবেন তা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমার বক্তব্য, যেহেতু উনি একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের কর্ম সমিতির সদস্য ছিলেন তাই উনি যাওয়ার আগে একটা ইস্তফাপত্র দিয়ে দিতে পারতেন। দিলে ওঁকে লোক ভালো বলতো। আমাদের আশা ছিল উনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন, লড়াই করবেন। থাকলে ভালো হতো। থাকেননি, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই।

বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আগরতলার জনসভায় রাজীব বলেন, একটা অভিমানে, একটা জেদের বসে, রাগের বসে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখনও মনে আছে সেদিন আমার নেত্রী আমাকে দল ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন। এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আধঘণ্টা বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু আজ আমি লজ্জিত, আমি অনুতপ্ত। আমার ভুল আমি স্বীকার করছি। বলতে দ্বিধা নেই, সেদিন যদি আমার নেতৃত্বের কথা শুনতাম তাহলে আমি আরও ভালো ভাবে এগিয়ে যেতে পারতাম। আমি অনুতপ্ত। মনে হয় ভুলটাকে স্বীকার করলে কোনও অসুবিধে নেই। বলা হয়েছিল, বাংলার উন্নয়ন যদি কেউ করতে পারে তাহলে তা করতে পারে বিজেপি। শিল্প হবে, বেকারের চাকরি হবে। একথাটা আজ বলছি কারণ আমি চাই আমি সেদিন যে ভুলটা করেছি, সেটা অন্য কেউ করুক। দেশের আর কেউ যেন এই ভুল না করেন।

রাজীবের মন্তব্য নিয়ে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, উনি তো দুগ্ধ পোষ্য শিশু নন যে ওঁকে কেউ ভুল বোঝাবেন। বয়স তো অনেক হল। মিথ্যে কথা না বলে সত্যিটাই বলা ভালো।

আগরতলায় এদিনের সভায় বিপ্লব দেবকে নিশানা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনার ডানদিকে, বাঁদিকে যারা ঘোরেন তারা সবাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সুইচ টিপলেই ১৫ বিধায়ক তৃণমূলে আসবেন। কিন্তু ভাঙার রাজনীতি আমি করি না। ২০২৩ সালে আপনার গদি উপড়ে ফেলব।

অভিষেকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন,  উনি সুইচ টিপতে থাকুন আর দেখুন কি হয়। পশ্চিম বঙ্গের মানুষকে শোষণ করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। একটা সময় মধ‍্যবিত্ত পরিবারের সদস‍্য ছিলেন। চাটার্ড প্লেনে ঘুরে বেড়ান এখন। কোথা থেকে পান এত টাকা। সোর্স অফ ইনকাম কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.