বাংলার বিজেপি কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা এনে অত্যাচার করা হচ্ছে৷ রাজ্য জুড়ে একের পর এক বিজেপি কর্মী খুন হচ্ছেন, অথচ তার কোনও বিচার নেই৷ গোটা রাজ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে খুন করে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার৷ রাজ্যে চলা অব্যবস্থার প্রতিবাদে শুক্রবার সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা৷
প্ল্যাকার্ড হাতে এদিন সকাল থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ বিজেপি সাংসদ ড: সুভাষ সরকার জানান, রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চলছে৷ কোনও বিচার নেই৷ এরই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে৷ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে ঢোকানো হচ্ছে একাধিক বিজেপি নেতা কর্মীকে৷ এর বিচার চাইছেন তাঁরা বলে জানান এই বিজেপি সাংসদ৷
তবে বিজেপি সাংসদদের এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মানস ভুইঁঞা৷ তাঁর মতে উত্তরপ্রদেশের ঘটনার কথা ভুলে যাচ্ছেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা৷ সেখানে উন্নাওয়ের মত ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে৷ সে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা কতটা মজবুত, সেবিষয়ে কেন কোনও বিজেপি সাংসদ কথা বলছেন না? আসল ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই এই সব বিক্ষোভ নাটক চলছে৷
উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দিল্লির বাড়িতেও এদিন যায় কলকাতা পুলিশ৷ বড়বাজারের একটি প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর৷ বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়৷ দু-দিন আগেই ব্যাঙ্কশাল আদালত মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে৷
তবে দিল্লি আদালতের রায়ে কিছুটা স্বস্তি পান মুকুল৷ জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী দশদিন মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা যাবে না৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে তাঁর দিল্লির বাড়িতে এসে তা করতে হবে৷ সেই মতই শুক্রবার সকালে নয়াদিল্লি যান কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা৷ বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷