অবশেষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব। আসন্ন পৌরনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা থেকে শুরু করে সিএএ-বিল কার্যকরী করা-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দরবারে যেতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ অন্যান্য উচ্চ নেতৃবৃন্দ।
ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে? সূত্রের খবর, সিএএ অর্থাত্ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিধি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে কথা বলবেন পদ্ম নেতৃত্ব। পাশাপাশি, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ও আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও তুলে ধরবেন তাঁরা। রাজ্যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি যে তদন্ত চালাচ্ছে তা দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ-সহ একাধিক দাবির কথাই বলা হবে বঙ্গবিজেপির পক্ষ থেকে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা আজ পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি, রাজ্যের উন্নয়ন এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিধি বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন।” অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেছেন, “রাজ্যেই আইনশৃঙ্খলা ও ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ অন্যান্য বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে।”
তবে এখানেই শেষ নয়, বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়ে তা রাজ্যের প্রকল্প বলে চালানোর চেষ্টা করছে। এমনকী, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা বেআইনিভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর আরও সংযোজন, “বিজেপির সব সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেব৷”
এছাড়াও, দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্যও অনুরোধ করতে পারেন বিজেপি নেতারা। তবে সেই সফর কয়েকঘণ্টার জন্য হতে পারে বলেই অনুমান।
উল্লেখ্য, প্রায় একবছরেরও বেশি সময় আগে আইনে পরিণত হয় সিএএ (CAA)। তবে এই আইন সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি করা সম্ভব হয়নি এখনও। তাই এই আইন চালু করাও যায়নি। এই আইন নিয়ে গোটা বঙ্গ কেবল নয়, দেশজুড়েও প্রবল বিরোধের ঝড় উঠেছিল। বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, ক্ষমতায় এলেই সিএএ চালু করা হবে। যদিও, অন্য আরেকটি নির্বাচনী সভায় খোদ অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, এখনই সিএএ চালু করা হবে না।