অদৃশ্য ব্যাধি করোনায় নাজেহাল বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাক্সিন প্রদানের কাজ। আর এই ভ্যাক্সিন প্রদানের কাজে স্বল্প কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের মধ্যে শেরার শিরোপা জিতে নিল পশ্চিমবঙ্গ। গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষেরও বেশি স্বাস্থ্য কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। টিকাকরণের কাজে পিছিয়ে নেই উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র।
মহামারীর কবল থেকে রক্ষা পেতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও শুরু হয়ে গিয়েছে টিকা প্রদানের কাজ। আর এই টিকাকরণের ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক দিনের দেশের অন্যান্য রাজগুলির মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ১,১৭,৭২২ জন মানুষকে করোনার ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর এই প্রথম ডোজ গ্রহনকারীদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধারা।
এছাড়াও টিকা প্রদানের কাজে পিছিয়ে নেই বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য উওরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র। যদিও এই সমস্ত রাজ্য গুলিকে ছাপিয়ে টিকাকরণের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করেছে পশ্চিমবঙ্গ।
এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, ” মাত্র ৩৪ দিনের মধ্যে আমরা ১ লক্ষ মানুষকে ভ্যাক্সিন দিতে সক্ষম হয়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। শুধু তাই নয়, গত দু দিনে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।”
ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “বৃহস্পতিবার সবথেকে বেশি প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। “
ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের এক নার্স বলেন, ” টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে আমিও একটু ভয় পাচ্ছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম আমার সব সহকর্মীরাই এই টিকা গ্রহন করছেন। ফলে আমিও আর দেরি না করে নিয়েই ফেললাম ভ্যাক্সিন।”
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ স্বাস্থ্য কর্মী যুক্ত রয়েছেন মেডিকেল কলেজের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, গোটা বাংলা জুড়ে অন্তত ৮০ শতাংশ স্বাস্থ্য কর্মীকে এই টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের হাসপাতালে মোট ১,৪৬০ জন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছে। যদিও তাঁদের মধ্যে ২৫০ জন গর্ভবতী বা সদ্য মা হয়েছেন। ফলে তাদের এখনই টিকা দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল গুলিও টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলার বেসরকারি হাসপাতাল গুলির মধ্যে অন্তত ৮০ থেকে ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীকে সফল ভাবে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।