অদ্ভুত ব্যাপার, আজকাল তেজপাতার ব্যবহার ক্রমশ কম হচ্ছে। কেন? খুব সস্তা বলে? নাকি অজ্ঞতার কারণে?
• তেজপাতা কাঁচা ও শুকনো দু’রকমই ব্যবহার করা যায়। তেজপাতা সেদ্ধ জল বহু রোগে মহোপকারী।
• তেজপাতা সেদ্ধ জল সর্দি-কাশিতে খুবই উপকারী। চায়ের মতো চুমুক দিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করতে হবে।
• তেজপাতা সেদ্ধ জল ক্যানসার রোগ প্রতিরোধ করে ও কিডনির পাথর দূর করে।
• তেজপাতা ১০/১২ ঘণ্টা গরম জলে ভিজিয়ে রেখে তারপর ছেকে সেই জল ২/৩ বার খেলে লাল প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
• তেজপাতা ভেজানো জল পেটের জ্বালা ভাব দূর করে।
• তেজপাতা বাটা গায়ে মেখে আধঘণ্টা পরে স্নান করে নিলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়। এতে ঘামাচিও মরে।
• তেজপাতা সেদ্ধ জল দিয়ে চুল ধুলে চুলপড়া বন্ধ হয়। এবং খুসকিও মরে।
• তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই জলের ভাপ নিলে মুখের বলিরেখা দূর হয়, মুখের লাবণ্য বৃদ্ধি পায়।
• শরীরের ব্যথা কমাতে ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে তেজপাতার ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত।
• তেজপাতা সেদ্ধ জল ঠাণ্ডা করে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
• ঘন ঘন জল তেষ্টা পাওয়া একটা রোগ। জল দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা হচ্ছে না। গোটা পাঁচেক তেজপাতা তিন গেলাস জলে ফুটিয়ে দেড় গেলাস অবস্থায় নামিয়ে ছেকে দিনে ২-৩ বার পান করতে হবে। সেরে যাবে।
• সর্দিতে গলার স্বর বুজে এলে তেজপাতা সেদ্ধ জলে গার্গল করলে খুব কাজ হবে।
• তেজপাতা বাটা ব্যথায়, দাঁতের গোড়ায় এবং গরম করে ফোঁড়ার উপরে লাগালে উপকার হয়।
• তেজপাতা সেদ্ধ জল খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
• দুধের দুর্গন্ধ দূর করতে দু-একটি তেজপাতা দুধে ফুটিয়ে নিন।
• গরম মশলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তেজপাতা। সুজি বা পায়েসের তেজপাতা চাটবার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যেত ছোটোবেলায়। এক হাজার টাকা কিলো না হওয়া পর্যন্ত মনে হয় হারানো মর্যাদা ফিরে পাবে তেজপাতা।
• যজ্ঞে আহুতি দিন তেজপাতা। বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যে ধুনোতে তেজপাতা চূর্ণ বা টুকরো দিন। পরিবেশ শুদ্ধ ও সুগন্ধিত হবে।
• রক্তের তেজ বাড়ায় বলেই এর নাম তেজপাতা।
• দাদে ও নতুন শ্বেতিতে তেজপাতা সেদ্ধ জলে তুলো ভিজিয়ে লাগাতে হবে ও সেদ্ধ জল খেতেও হবে।
অসিত বরণ আইচ