এক সময় কাশ্মীরে যা যা ঘটতে দেখা যেত, পশ্চিমবঙ্গে এখন ঠিক তাই তাই ঘটতে দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। এখন সেই কথা পদে পদে সত্য বলেই মনে হচ্ছে। কারণ প্রথমে রাজনৈতিক অশান্তি এবং তারপর সেই অশান্তি সাম্প্রদায়িক রূপ নিতে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এক চাঞ্চল্যকর খবর পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারের নহাজারী এলাকা থেকে সামনের আসছে। যেখানে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করার খবর উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর অনুযায়ী, নহাজারী (Nahazari) অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান মাবিয়া বিবির স্বামী আজান শেখ তার ২০০ জন কট্টরপন্থী বাহিনীকে সাথে নিয়ে হিন্দুদের ঘর বাড়ি, দোকান জ্বালিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে এই হিংসা বোয়াখালী এলাকার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেও বোমা, পিস্তল, তরোয়াল নিয়ে ঢুকে পড়ে কট্টরপন্থীরা। অনেকে হিন্দু পরিবার তাদের জীবন ও মহিলাদের সন্মান বাঁচাতে পলায়ন করে। তবে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরেকদিকে বোয়াখালীতে হিন্দুদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কট্টরপন্থীরা হিন্দুদের হুমকি দিয়ে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করছে। আগামী সপ্তম দফায় ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে। ওই লোকসভা আসনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন মমতা ব্যানার্জীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জী। আর লোকসভা ভোটের আগে এলাকায় এই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চরম ভাবাচ্ছে এলাকাবাসীকে। তবে এই ঘটনার পুরোপুরি ফায়দা তৃণমূল লুঠে নিতে পারবে। কারণ হিন্দুরা যখন অত্যাচারিত, আর তারা ঘর বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সেহেতু তাঁরা ভোট না দিতে পারলে লাভ তৃণমূলেরই।
এর আগেও কয়েক দফায় এরাজ্যে হিন্দুদের ভোট দিতে বাঁধা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর সপ্তম দফার ভোটের আগে ডায়মন্ড হারবারের এই ঘটনা আবার সেই হিন্দু ভোটারদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করছে। আর এর লাভ সরাসরি শাসক দল তৃণমূলের পক্ষেই যেতে চলেছে।