পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাদের সাংগঠনিক নির্বাচনের পাঠ দিতে টানা পাঁচদিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচনে বড় ধরণের গন্ডগোল এড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। টানা পাঁচদিন রাজ্যের সর্বস্তরে নেতৃত্বের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বুথ, মন্ডল, জেলা, রাজ্যস্তরে শান্তিপূর্ন ভাবে নেতা বাছাই করতেই এই বৈঠক হবে। এই সাংগঠনিক ভোটের মাধ্যমেই প্রত্যেক পর্যায়ের নেতা নির্বাচন করা হবে।
২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার প্রথম বৈঠকটি হবে আইসিসির প্রেক্ষাগৃহে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ( সংগঠন) শিবপ্রকাশ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় সহ বিজেপির শীর্ষস্তরের সব নেতৃত্ব। পাশাপাশি, বিজেপির ১৮ জন সাংসদ, ১৪ জন বিধায়ক, ৩৮ টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সহ রাজ্য কমিটির সমস্ত নেতারা।
২৮-৩১ আগষ্ট বিজেপির সদর দপ্তরে ৩৮টি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, জেলার পর্যবেক্ষক, মন্ডল সভাপতি, মোর্চা ও সেলের সমস্ত নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক সারবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। মূলত, বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন বলা হলেও, এই নির্বাচনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতাদের মনোনীত করা হয়। রাজ্য বিজেপির ইতিহাসে আগে একবার মাত্র তপন শিকদার রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন ভোট হয়েছিল। তারপর বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচনপর্বে ভোট হয়নি। এবার বঙ্গে বিজেপির হাওয়া প্রবল। তাই অন্দরে অন্দরে বিজেপির একাধিক লবি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আদি ও নব্য বিজেপির কর্মীদের মধ্যে প্রায়ই গন্ডগোলের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তারপর শেষ কয়েক মাসে তৃণমূল থেকে নেতা কর্মীরা ধারাবাহিক ভাবে বিজেপিতে ঢুকেছে। তাই সবরকম আগাম প্রস্তুতি নিয়েই সাংগঠনিক নির্বাচনে নামতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সুত্রের খবর, এমন উদ্যোগের মাঝে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই আবারও আগামী ৫ বছরের জন্য সভাপতি মনোনয়ন করার প্রস্তুতি শুরু করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। তাই রাজ্যের সব নেতৃত্বকেই সেই বার্তা বুঝিয়ে দিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার জন্যই এই বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ” মূলত সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই এই বৈঠক হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তাদের নির্দেশ মতোই আমরা চলব।”