শেষ দফার নির্বাচনের আগে আবারও রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ করবেন চারটি জনসভা৷ বঙ্গ বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, চলতি মাসে ১৫ ও ১৬ মে রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী৷ ১৫মে বসিরহাট ও ডায়মন্ড হারবারে করবেন জনসভা৷ তার পরের দিন অর্থাৎ ১৬ মে মথুরাপুর ও দমদম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রচারে আসবেন নমো৷
একই দিনে রাজ্যে দু’বার ভোটপ্রচারের রেকর্ড আগেই আছে মোদীর৷ সেই দিক থেকে দেখলে এই ঘোষণায় চমক কিছু নেই৷ তবে যে চমকটা আছে সেটা হল এই চারটি সভা যোগ করলে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৭ বার রাজ্যে আসতে চলেছেন৷ অতীতে কোনও প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা ভোটের সময় এতবার বঙ্গে আসার নজির নেই৷ সেই রেকর্ডটা নিজের পকেটে পুড়ে নিলেন মোদী৷
লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রক্ষিতে বাংলায় যে শেষ চারটি জনসভা করতে আসবেন নরেন্দ্র মোদী তার সময়সূচিও ঠিক হয়ে গিয়েছে৷ ১৫ মে দুপুর ৩টে৩০ মিনিট নাগাদ বসিরহাটে জনসভা করবেন৷ সেখান থেকে চলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে৷ সূচি অনুযায়ী বিকাল পাঁচটায় শুরু হওয়ার কথা মোদীর জনসভার৷ তারপরের দিন বিকাল চারটে মথুরাপুরে নির্বাচনী প্রচারে আসবেন মোদী৷ সেখানে সভা সেরে রওনা দেবেন দমদম৷ সন্ধ্যা ৬টায় সভা শুরু করার কথা৷
প্রধানমন্ত্রী ৩ এপ্রিল জলপাইগুড়ির কাওয়াখালি এসজেডিএ মাঠে জনসভা দিয়ে শুরু হয়েছিল৷ এরপর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড কলকাতা সভা করেন তিনি৷ ব্রিগেডে হ্যাঙ্গারের নিচে জনসভা করেছিল বিজেপি৷ যা আগে কোনও রাজনৈতিক দল করেনি৷ এরপর, কোচবিহার রাসমেলার মাঠে এপ্রিল ৭ সভা করেন তিনি৷ ২০ এপ্রিল বালুরঘাটের বুনিয়াদপুরে তিনি জনসভা করেন৷ ২৩ এপ্রিল আসানসোলে সভা করেন মোদী৷ ২৪ এপ্রিল ফের বোলপুর এবং রানাঘাটে সভা করেন৷ ২৯ এপ্রিল শ্রীরামপুর এবং জগদ্দলে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ পঞ্চমদফা নির্বাচনের আগে ৬ মে তমলুক এবং ঝাড়গ্রামে সভা করবেন মোদী৷ এরপরই ৯ মে সভা করবেন বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায়৷
এবার গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দেখলে মোদী প্রথম চার দফায় সারা দেশেই ৮৭টি জনসভা এবং ৩টে বড় রোড-শো করেছেন৷ প্রথম ৩১ দিনে মোদীর জনসভায় একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা লক্ষ করা গিয়েছে৷ তিনি উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং গুজরাতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন৷ বিজেপির মনে হয়েছে – দলের প্রচারের প্রধান মুখ মোদী এই পাঁচ রাজ্যেই বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন৷ সেই কারণে ৫০ শতাংশ প্রচার এই পাঁচ রাজ্যেই করেছেন মোদী৷