বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে হনুমান চালিশা বিলিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেষদিনেও কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় তুলকালাম। পুলিশ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আপাতত ওই স্টলের সামনে পুলিশের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের সামনে CAA বিরোধী স্লোগানকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া এই আন্দোলনে শামিল হয়। পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। সন্ধেয় তার আঁচ গিয়ে পৌঁছয় বিধাননগর উত্তর থানায়। অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে আচমকাই এক মহিলা পুলিশকর্মীর উপর হামলা চালায় বেশ কয়েকজন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। সেই ঘটনার জেরে রবিবার বইমেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বিকেলের পর থেকে ওই স্টল থেকে বইমেলায় আগতদের হনুমান চালিশা বিলি করা হচ্ছিল। অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। তার জেরে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা এবং পরে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা।
রবিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘জনবার্তা’ স্টলে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, “CAA’তে সিলমোহর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারপরেও তা নিয়ে আন্দোলনের কিছুই নেই। বইমেলার মতো একটি জায়গায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ মানা যায় না।” এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এদিন দুপুরে মানবাধিকার কর্মী এবং একদল পড়ুয়া মিছিল করে বইমেলায় ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে তাতেও বাধা দেয় পুলিশ।