কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে বর্ধমানে সেতু উদ্বোধনে রাজ্য, সংঘাত চরমে

সস্তা রাজনীতির চরম দেখছে এ দেশ তথা রাজ্য। যেমন আজ একই সেতু, উদ্বোধন হবে দু’বার। বর্ধমান রেল স্টেশনের উপরে নির্মিত নতুন রেল ব্রিজের উদ্বোধন ঘিরে প্রকাশ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের ওই উড়ালপুলটির উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করতেই দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছল।

ঝুলন্ত সেতুর গার্ডওয়ালে পড়ল বেশ কিছু পোস্টার। সেতুর ওপর ব্যারিকেড লাগিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান রেল স্টেশনের উপর নির্মিত নতুন রেল ব্রিজটির উদ্বোধন করার কথা রাজ্যের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। এদিকে সকাল সকাল সেতুর গায়ে পড়ল হুঁশিয়ারি পোস্টার—“সেতুর কাজ চলছে। সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল বারণ। নির্দেশ মানা না হলে মোটা টাকার জরিমানা, হতে পারে জেলও।” এইসঙ্গে সেতুর ওপর রেলের তরফে ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে বলেও খবর। সব মিলিয়ে দু’পক্ষে শুরু হয়েছে তীব্র স্নায়ুযুদ্ধ।

রেল ব্যারিকেডের নোটিশে লিখে দিয়েছে, এই সেতুর উদ্বোধন হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। অনুষ্ঠানে থাকবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। রাজ্য সরকারকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে এই সেতু নির্মাণের অনুমোদন পাকা হয়। যদিও ২০১১ সাল পর্যন্ত জমিজটে আটকে ছিল কাজ। ওই ২০১১ সালেই শুরু হয় সেতু নির্মাণের কাজ। বছর দু’য়েক আগেই সেই কাজ শেষ হয়। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্যের টানাপোড়েনে থমকে ছিল উদ্বোধন। ফলে যাদের জন্য রেল-সেতুর নির্মাণ সেই সাধারণ মানুষকে ঠায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিশেবা পেতে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সেতুটি নির্মাণে রাজ্য সরকার দিয়েছে ১৬২ কোটি টাকা, অন্যদিকে রেল দিয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। বাস্তবে রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে সেতুটি। কিন্তু নির্মাণ পরবর্তী পর্ব থেকেই উদ্বোধন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু। জল এবার কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।‍

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.