একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। বাজতে শুরু করেছে নির্বাচনের দামামাও। সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের বদলিও শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে বদলি হলেন রাজ্যের বিভিন্ন থানার মোট ১০৪ জন পুলিশ ইন্সপেক্টর।
তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তিন পুলিশ ইন্সপেক্টরও। তাঁরা হলেন বালুরঘাট ও হরিরামপুর থানার আইসি যথাক্রমে গৌতম রায় এবং সঞ্জীব বিশ্বাস। সেই সঙ্গে জেলা ডিআইবি ইন্সপেক্টর নিম শেরিং শেরপাও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের জায়গায় বালুরঘাট থানায় নতুন আইসি হিসেবে আসছেন ইসলামপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
অন্যদিকে হরিরামপুর থানার আসছেন গোয়ালপোখরের সার্কেল ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ। যিনি একটা সময় বংশীহারী থানার আইসি ছিলেন। জেলা ছেড়ে সঞ্জীব বিশ্বাস উত্তর ২৪পরগনার বসিরহাটের ডিআইবি ইন্সপেক্টর হয়েছেন। গৌতম রায়কে আইসি কালিম্পঙ এবং নিম শেরিং শেরপাকে আইসি বৈষ্ণবনগর থানায় বদলি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে ইন্সপেক্টর পদে রদবদলের তালিকায় বাকি যারা রয়েছেন। তাদের মধ্যে নাম রয়েছে মালদহ থানার আইসি শান্তি নাথ পাঁজা, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আইসি হীরক বিশ্বাস, সিউড়ি থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাস, জামবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ পাত্র ও কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি আশীষ দুলুইয়ের নামও। বুধবার এই তালিকায় এডিজি আইজিপি(ল অ্যান্ড অর্ডার) সই করেছেন।
অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশের থানা স্তরে বড় ধরনের রদবদল হতে চলেছে। বিভিন্ন থানার ওসি, অ্যাডিশনাল ওসি এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ-সহ বিভিন্ন স্তরে ব্যাপক রদবদল করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আগামী দিনে প্রশাসনিক স্তরে আরও রদবদলের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এবং জেলা শাসকদেরও বদলি করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ সূত্রে যে তথ্য এসেছে, তাতে বদলির তালিকায় ৭৯ জনের নাম রয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্যে চলছে এখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। যদিও সেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে একপ্রস্থ নির্বাচন কমিশন রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করে নিয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্ত জেলার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। আর তার আগেই জেলা প্রশাসন স্তরেও চূড়ান্ত ব্যস্ততা। যদিও প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। এমনকি সামনে বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়েও এই পরিবর্তন নয় পুলিশ প্রশাসনে। এটি রুটিন পরিবর্তন।