দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার ঘোষণা হল বিজেপি প্রার্থীর তালিকা। জেলা থেকে পাঠানো প্রায় একশো জনের নামকে পিছনে ফেলে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে সুকান্ত মজুমদারের নাম। পেশায় অধ্যাপক সুকান্ত বাবু বালুরঘাটের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা। সুকান্ত মজুমদার বর্তমানে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক। খাদিমপুর হাইস্কুল ও বালুরঘাট কলেজ থেকে পড়াশোনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে সুকান্ত বাবু। ছোটো থেকেই পড়াশোনায় প্রথম স্থানাধিকারী সুকান্ত মজুমদার রাজনীতির সাথে সেভাবে যুক্ত না থাকলেও নানা সামাজিক, ধর্মীয় ও যুক্তি তর্ক প্রতিযোগিতায়ও চুড়ান্ত স্থান অধিকার করেছিলেন। বালুরঘাটের রাজুয়া সখি সুন্দরী হাইস্কুলে ২০০৭ সালে শিক্ষকতা দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন তিনি। এরপর দার্জিলিং কলেজে দুবছর এবং শিলিগুড়ি কলেজে তিনবছর শিক্ষকতার পর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানির অধ্যাপক হিসাবে ২০১৩ সালে যোগদান করেন।
প্রায় কুড়ি বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সাথে যুক্ত সুকান্ত মজুমদারের নাম বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নাম পাঠায় আরএসএস বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে জেলা বিজেপির তরফে একাধিক নাম পাঠানো হয় প্রার্থীর জন্য। যে তালিকায় জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বদের নাম উঠে আসে। যাকে ঘিরে শুরু হয় নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য। এই কেন্দ্র থেকে পাঠানো প্রায় ১০০ জনের নাম নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও পরে বিভিন্ন সার্ভে ও দলীয় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তালিকায় উঠে আসে তিন থেকে চার জনের নাম। যার মধ্যে অন্যতম হিসেবে জায়গা পায় নীলাঞ্জনা রায় থেকে শুরু করে রথীন্দ্রনাথ বোস সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু সরকার ও বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর নাম। যাকে ঘিরে শুরু হয় দীর্ঘ আলোচনা বৈঠক ও বিভিন্ন সমীক্ষা। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্বচ্ছ মুখ, স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষিত যুবক হিসাবে নাম উঠে আসে তালিকার শীর্ষে থাকা ওই ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে তালিকার শীর্ষে থাকা সুকান্ত মজুমদার এর নাম। যে খবর প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা বিজেপির অন্দরে।
সুকান্ত মজুমদার অবশ্য জানিয়েছেন, দল তাকে সুযোগ দিয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে জেলার মানুষের জন্য কিছু কাজ করে দেখাতে চান।