প্রচার সেরে কলকাতায় ফেরার পথে বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি আটকে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বাবুল সুপ্রিয়র দুই নিরাপত্তা কর্মীও আহত হন। ভাঙচুর করা হয় সিকিউরিটির গাড়ি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুর কদম্বগাছি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বরিবার উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটে নির্বাচনী জনসভা শেষ করে কলকাতায় ফেরার পথে আক্রান্ত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। বারাসাতের কাছে কদম্বগাছিতে টাকি রোডে বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি আটকে কনভয়ের উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা উদজামানের নেতৃতে এই হামলা চালান হয়েছে বলে দাবি করেন বাবুল সুপ্রিয়। খবরে পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌছয়। সেখান থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে।
বাবুল জানান, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ভিডিও ফুটেজ সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির তরফ থেকে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে অবিলম্বে দত্তপুকুর থানার আইসির অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় পুলিশি টহল চলছে।
বাবুল সুপ্রিয় জানান, কদম্বগাছিতে চা খেতে গাড়ি দাঁড় করান। জনৈক বাবলার চায়ের দোকানে ঢোকেন। সেই সময় হঠাৎ তাঁকে লক্ষ্য করে মারমুখী হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদ উদ জামানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। নিগ্রহের চেষ্টা করা হয় বাবুলকে। নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকালেও তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়, তাঁর পোশাক কয়েকটি জায়গায় ছিঁড়ে গেছে বলে জানান। দ্রুত তিনি সামনের গাড়িতে উঠে এগিয়ে গেলে ইঁট বৃষ্টি চলে। বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তা কর্মীরা বাবুলকে নিরাপদে সরাতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত হন। কনভয়ের সিকিউরিটি গাড়িটিতে ভাঙচুর করা হয়
অন্যদিকে অভিযুক্ত আরশাদ উদ জামানের বক্তব্য, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি মসজিদে ছিলেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রকাশ্য রাস্তায় বিজেপির এক নেত্রীকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে আরশাদ উদ জামানের বিরুদ্ধে।