রাজনীতির সৌজন্যবোধ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে গেছে অনেকদিন, বর্তমানে প্রতিনিয়ত শুধু নোংরা রাজনীতি কলকাতার আনাচে-কানাচে দেখা যাচ্ছে। আজ সকালবেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ লেকটাউন এলাকায় দক্ষিণদাঁড়ি রোডে চায় পে চর্চা বলে একটি অনুষ্ঠান করতে যান, সেই অনুষ্ঠান হবে জানা থাকায় সকালবেলা বিজেপির ছেলেরা পতাকা এবং ফ্লেক্স লাগিয়ে সাজিয়ে তুলতে শুরু করে অনুষ্ঠানের জায়গাটিকে। সেইসময়ে তৃণমূলের ছেলেরা রে-রে করে তাদের মারতে আসে। সমস্ত ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয়, পতাকা ফেলে দেওয়া হয়, তারপর দিলীপ ঘোষ যখন সেখানে আসেন ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া শুরু হয়, টেবিল চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে হেনস্তা করতে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তার দিকে ছুটে যান। তবে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকায় শেষ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের উপর বড়সর হামলা হয়নি। তবে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আচমকাই দিলীপ ঘোষের সামনে এসে ধাক্কাধাক্কি করার মরিয়া চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লেকটাউন থানার পুলিশ আসে। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ এসে এলাকায় পৌঁছলে পুলিশের সামনেই এলাকা দখলের চেষ্টায় তৃণমূলকর্মীরা অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে এবং কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়। দিলীপবাবু সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাবার সময় তাঁর গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে তৃণমূলের ছেলেরা। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী সংবাদমাধ্যমকে পর্যন্ত অশ্রাব্য গালিগালাজ করে।
পুরো ঘটনার জন্য সুজিত বসুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূলের শেষের শুরু। শেষের ভয়েই বিজেপির গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে।
এই ধরনের ঘটনা অনেকবার দেখা গেছে গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কিন্তু কলকাতার বুকে লেকটাউনের মতো জায়গায় এই ধরনের এলাকা দখলের লড়াই কোনো রাজনৈতিক দল করতে পারে এবং সংবাদ মাধ্যমকে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই এইভাবে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনতে হবে, এ কোন সংস্কৃতির দিকে কলকাতা এগোচ্ছে?
সুমিত
2019-08-30