শুক্রবার গভীর রাতে গুলি চলল হুগলির ভাস্তরার কুল বাড়ুইয়ে। গুলিতে জখম হয়েছেন রাকেশ ক্ষেত্রপাল নামে এক যুবক। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, শুক্রবার হরালে সভা করেন তাঁদের দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই সভায় উপস্থিত হয়ে দলের পতাকা লাগানোয় রাকেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনার প্রতিবাদে আজ ভাস্তারা মোড়ে পথ অবরোধ করে বিজেপি। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জানা গেছে, বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় রাত ১২টা নাগাদ মাঠে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তখন মুখ ঢাকা তিন চারজন দুষ্কৃতী তার উপর চড়াও হয়। প্রথমে মারধর করে রাকেশকে। পরে পেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাঁকে সোজা কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই ভর্তি রয়েছেন ওই যুবক। রাকেশের পরিবারের লোকজন জানান, তাঁর শিরদাঁড়ার কাছে আটকে থাকা গুলি বার করতে আজই অস্ত্রোপচার করবেন ডাক্তাররা।
এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রাকেশ তাঁদের দলের কর্মী। এ দিন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সভায় পতাকা লাগানোতেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে। বিজেপির হুগলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি সুবীর নাগ বলেন, “আমাদের দলের কর্মীদের উপর এমন হামলা গোটা রাজ্যেই চলছে। এ দিনও রাকেশের উপর পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।”
তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, মিথ্যে অভিযোগ। অশান্তি পাকানো ছাড়া বিজেপির অন্য কোনও কাজ নেই। যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেন বলেন, “এক যুবক গুলিতে জখম হয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি আমরা। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।”